প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক
১. গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা
গভীর সমুদ্রে জেলেদের মাছ ধরা সহজ ও সাশ্রয়ী করার কথা প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে। মাছ ধরার অন্যতম উপকরণ ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালিং ইকুইপমেন্ট আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. পর্যটন শিল্পে গুরুত্ব
প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থানগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য স্বতন্ত্র পর্যটন এলাকা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রেখে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, দ্বীপভিত্তিক পর্যটন পার্ক ও হোটেল নির্মাণ ও আগত পর্যটকদের বিনোদনসহ সব সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের পর্যটনশিল্প যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সরকার সক্রিয় চেষ্টা গ্রহণ করবে।
৩. গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গায়
করোনায় ধাক্কায় বিপর্যস্ত গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। এর জন্য পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গ্রামে বসবাসরত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
৪. স্বাস্থ্য গবেষণায় ১০০ কোটি টাকা
স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি খাতের গবেষণার উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হবে। এই তহবিল পরিচালনার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি থাকবে। যে কমিটিতে পুষ্টিবিজ্ঞানী, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
৫. ব্যবসা সহজীকরণে নানা পদক্ষেপ
ব্যবসা-বাণিজ্য যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনার মাধ্যমে দ্রুত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব বলে প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী বাজেটে লক্ষ্য, বাংলাদেশের অবস্থান ২ অঙ্কের মধ্যে নামিয়ে আনা। যে কারণে ব্যবসা সহজীকরণের জন্য নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম ছাড়াও কোম্পানি আইন সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।
৬. বন্দরে দ্রুত পণ্য খালাসের উদ্যোগ
প্রস্তাবিত বাজেটে বন্দরে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য বিদ্যমান আইন সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দরে পণ্যজট নিরসনের কথাও বলা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে দেশে সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেট গঠনসহ আরও কিছু বিধিবিধান ও আইন সংশোধন করা হবে।
৭. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইএফডি
করোনার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন স্থাপনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতটি ভ্যাট আহরণের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বলে মনে করছেন অথমন্ত্রী। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বর্তমানে এই খাত থেকে মোট ভ্যাটের শতকরা ৩ ভাগ আদায় করা হয়। ইএফডির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাট আদায় করা হবে। সে লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ইএফডি ডিভাইস পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ৫ লাখ ইএফডি মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।