1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পটুয়াখালীতে করোনা শনাক্ত ২৭, সুস্থ ৪, মৃত্যু ৩

  • Update Time : শুক্রবার, ১ মে, ২০২০
  • ১৮১ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত পটুয়াখালীতে ৬৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।

এর মধ্যে ৩৬৫টি রিপোর্টে ভারতীয় নাগরিকসহ ২৭ জনের কোভিড-(১৯) পজিটিভ শনাক্ত, চার জন সুস্থ এবং তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১ মে এপ্রিল) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মধ্যে বাউফল উপজেলায় ১২ জন, রাঙ্গাবালীতে ৪, দশমিনায় ৩, দুমকিতে ৫, কলাপাড়ায় ১ ও সদর উপজেলায় ২ জন।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন বাংলানিউজকে জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে দুমকি উপজেলায় ১ জন, পটুয়াখালী সদরে  ১ ও বাউফল উপজেলায় ১ জন।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও সেবিকাদের নিবিড় পরিচর্যায় মরণঘাতী মহামারি থেকে জেলায় ৪ জন করোনা আক্রান্ত (কোভিড-১৯) পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) জেলা পরিবার পরিকল্পনা ভবনের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা ওই চারজনকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

সুস্থ চারজন আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে। জেলায় করোনায় আক্রান্ত ২৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই ভারতীয় নাগরিক। তাদের বাড়ি ভারতের কলাকাতার বিহারে। তারা তাবলীগে বাংলাদেশে এসেছিলেন। যাদের পজিটিভ আসছে তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের কন্টাক্ট ট্রাকিং করা হয়েছে। সবার হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতোপূর্বে প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৫টি শয্যার আইসোলেশন ইউনিট পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রস্তুত রয়েছে সব উপজেলায় ৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ইউনিট এবং ভাসমান কোয়ারেন্টিন ইউনিট।

প্রতিটি ইউনিটের জন্য চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সারঞ্জামসহ প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় ৬৪ জন চিকিৎসক ও ৭৭ জন নার্স করোনা আক্রান্ত রোগী সেবার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়াও জেলার হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম মজুদ রয়েছে।

এদিকে জেলার সব উপজেলার মানুষের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ তৎপরতা চলমান। ইতোমধ্যে জেলার সব উপজেলায় এক লাখ আটাশ হাজার একশ চুরানব্বইটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে জেলার কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ছয় লাখ পঁচাশি হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান এবং ইউপি সচিবগণ কাজ করে যাচ্ছেন।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..