প্রত্যয় বিনোদন ডেস্ক: সু-অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি আছে রাধিকা আপ্তের। পর্দায় সাহসী হতেও বাঁধে না তার। তবে পর্দার বাইরেও রাধিকা ‘বোল্ড’। বিশেষ করে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে রাধিকার কোনো রাখঢাক নেই। বিয়ের পরও ভালো লাগতে পারে অন্য পুরুষকে- এমনটাই মনে করেন ‘আন্ধাধুন’ অভিনেত্রী।
প্রায় ৯ বছর আগে নাচ শেখার জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন রাধিকা। সেখানে পরিচয় ব্রিটিশ সুরকার বেনেডিক্ট টেলরের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রণয় হতে সময় লাগেনি। একসঙ্গে থাকা শুরু করলেন দুজনা। পরের বছর, ২০১২ সালে বিয়েটাও সেরে নেন। তবে কাগুজে বিয়েই করেন তারা। কোনো বাহুল্যের আয়োজন ছিল না। সে বিয়ের খবর দীর্ঘদিন গোপন রাখেন রাধিকা। মুম্বাইয়ে কাজে ব্যস্ত রাধিকা আর লন্ডনে বেনেডিক্ট। হালের আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘পাতাললোক’ এর সুরকার ছিলেন রাধিকার বর। তারা দুই দেশে থাকলেও চেষ্টা করেন প্রতি মাসে অন্তত একবার দেখা করতে। এ জন্য ব্যয় সঙ্কোচন নীতি মেনে চলেন রাধিকা। এমনকি বিমানের ইকোনমি ক্লাসে চড়েন তিনি খরচ বাঁচাতে।
যদি ভেবে থাকেন রাধিকার জীবনের প্রথম পুরুষ বেনেডিক্ট তাহলে ভুল করবেন। গুঞ্জন ছিল তুষার কাপুরের সঙ্গে প্রেম করতেন রাধিকা। অবশ্য তথ্যটিকে গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিয়ের পরও প্রেমে জড়িয়েছেন রাধিকা। ‘বদলাপুর’ ছবির সহশিল্পী বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ওঠে রাধিকার। বরাবরের মতোই অস্বীকার করেন তিনি এ প্রেমকেও। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীও নাকি ডুবেছিলেন রাধিকার প্রেমে। বিবেক ওবেরয়কে নিয়েও শোনা যায় রাধিকার প্রেমের গল্প। কোনো প্রেমের বিষয়েই মুখ খোলেননি রাধিকা। গুঞ্জনকে ভাসতে দিয়েছেন পত্রিকার পেইজ থ্রিতে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের দর্শন তুলে ধরেন রাধিকা। তিনি বলেন, বিয়ের পরও অন্য পুরুষের প্রতি আকর্ষণ জাগা পাপ নয়। কারও প্রতি শারীরিক আকর্ষণ জাগতে পারে কিংবা কারও সান্নিধ্য পেতে মন উদগ্রীব হতেই পারে। যদি একই সঙ্গে নাচ ও গান ভালো লাগে তাহলে দুজন পুরুষকে কেন ভালো লাগতে পারবে না?
বিয়ের পর কোনো কাজে স্বামীর অনুমতি নিতে হয় না রাধিকাকে। তার জীবনদর্শন নিয়েও আপত্তি নেই সুরকারের। এ জন্য স্বামীকে নিয়ে বেশ সুখী তিনি। বর্তমানে লকডাউন কাটাচ্ছেন লন্ডনে। শিখছেন নতুন ভাষা। রান্নাও করছেন টুকটাক। জানিয়েছেন করোনাভাইরাস মহামারি কেটে গেলে কাছে টেনে নেবেন ভালোবাসার মানুষকে, জড়িয়ে ধরবেন বন্ধুদের।
উল্লেখ্য, রাধিকার জন্ম ১৯৮৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। অর্থনীতি ও গণিতে ডিগ্রিধারী রাধিকার দক্ষতা আছে হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, মারাঠি, মালয়লম ও বাংলা মিলিয়ে প্রায় সাতটি ভাষায়। ২০০৫ সালে কলেজে পড়াকালীন অভিনয় করেন ‘বাহ! লাইফ হো তো হ্যায় অ্যায়সি’ ছবিতে। তারপর আস্তে আস্তে নিয়মিত হয়ে পড়েন অভিনয়ে। দেড় দশকের ক্যারিয়ারে হিন্দির পাশাপাশি কাজ করেছেন বাংলা, তেলেগু, মালয়লম ও ইংরেজি ছবিতেও। খুব বেছে বেছে কাজ করেন বলেই তিনি খুব একটা নিয়মিত নন বড়পর্দায়।