পশ্চিমবঙ্গে জমতে শুরু করেছে ভোটের লড়াই। মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল সরব মাঠের প্রচারণায়। আর অন্যদিকে দফায় দফায় প্রার্থী ঘোষণা করছে বিজেপি। রোববার তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় টেলিভিশন তারকাদের ছড়াছড়ি।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে দলটি মনোনয়ন দিয়েছে পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, যশ দাশগুপ্তর মতো রাজনীতির মাঠে নতুনদের। পাশাপাশি টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয়কে মাঠে নামিয়েছে তারা।
তাই এবার ভোটের লড়াই ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে। অন্যদিকে, বেহালায় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে দাঁড়াচ্ছেন পায়েল, যেখানে রত্নার স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম আশা করেছিলেন অনেকে।
বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির ময়দানে তুলনামূলকভাবে নতুনদের টিকিট দিয়েছে। তবে ঘোষণার আগে তাদের অনেকেই নিজের নির্বাচনী এলাকা কোনটি, তা জানতেন না।
বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের ভাষায়, ‘কোন কেন্দ্র থেকে লড়ব, সে ব্যাপারে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি। তবে বেহালার মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের দায়িত্ব নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবীদ হিসেবে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে আমি সম্মান করি।’
হাওড়ার শ্যামপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। এরপরই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
তনুশ্রী বলেন, ‘আমার বাবা ও মায়ের দিকের বেশ কিছু আত্মীয় থাকেন ওই এলাকায়। আমি যে টিকিট পাব, সেটা আগে থেকে জানতাম না। দায়িত্ব পাওয়াটা সম্মানের।’
বিজেপি হতাশ করেনি যশ দাশগুপ্তকেও। হুগলির চণ্ডীতলা থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশ। রাজনীতির মাঠে নতুন এ অভিনেতা বলেন, ‘চণ্ডীতলা এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কথা শুনেছি। ক্ষমতায় এলে সেই সমস্যার সুরাহার চেষ্টা করব প্রথমে।’
চণ্ডীতলায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।
এদিকে, সোনারপুর দক্ষিণ আসন থেকে লড়ছেন অঞ্জনা বসু। তিনি বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ মানুষের দায়িত্ব এখন আমার কাঁধে। গত দু বছর ধরে বিজেপি করার ‘অপরাধে’ ছোট পর্দা থেকে সরে আসতে হয়েছে, সেটাও খুবই যন্ত্রণার। ক্ষমতায় এলে এটা পাল্টানোর চেষ্টা করব।’
অঞ্জনার বিপরীতে লাভলি মৈত্রও তার মতোই ছোট পর্দার পরিচিত মুখ, তবে অভিজ্ঞতায় নতুন। এ বিষয়ে অঞ্জনা বলেন, ‘ও আমার স্নেহের। সুযোগ পেলে ও হয়ত নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে পারত ভবিষ্যতে। কিন্তু এই নির্বাচনের পরে সেই সুযোগটাই হয়ত আর পাবে না।’
তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী লাভলি বললেন, ‘এলাকায় গিয়ে বুঝেছি, এখানকার মানুষ বিজেপিকে আনবে না। তাই অঞ্জনা বসুকে নিয়ে একেবারেই ভীত নই।’
খড়গপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন হিরণ, সে ঘোষণা আগেই হয়েছে।
বিজেপি-র সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। অন্য দিকে তৃণমূল ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে। রোববার দেব টুইট করে জানিয়েছেন, দলের হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নতুন-পুরনো মিলিয়ে লড়াই ইতোমধ্যেই জমজমাট, যার ফল মিলবে ২ মে।