1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পেটের দায়ে রাস্তায় ৬৫ বছরের শিক্ষক

  • Update Time : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ১৭৫ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ শুধু জীবনের শেষ কয়েকটা দিন দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা সেই চাওয়া তার পূরণ হতে দেয়নি। অবশেষে পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছেন ৬৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ।

অবসর নেয়ার পর এই শিক্ষকের স্কুলটি এমপিওর তালিকাভুক্ত হয়। তবে আগে হলে কিছুটা ভালো বেতন পেতেন তিনি। যখন অবসরে যান তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ এককালীন দুই লাখ ৮৭ হাজার টাকা দেয়।

এসব বিষয়ে কথা হয় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে জামালপুরের সরিষাবাড়ির জুলিকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দেই। ২৯ বছর শিক্ষকতা করে অবসর নিয়েছি ২০১০ সালে।’

তিনি বলেন, ‘অবসরের পর স্কুল কর্তৃপক্ষ যে টাকা দিয়েছিলো তার পুরোটাই পরিবারে খরচ হয়ে গেছে। জমানো আর কিছুই নেই।’

‘অবসর নেয়ার পর পাঁচ ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার সুবিধার কথা চিন্তা করে ময়মনসিংহ শহরে চলে আসেন তিনি। বাগমারা এলাকায় ভাড়া বাসায় সপরিবারে উঠেন। সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে দুই মেয়ে স্নাতকোত্তর করে পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। এক ছেলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অন্য দু’জন আনন্দ মোহন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।’

পরিবার চালাতে গৃহশিক্ষকতা করতেন আবুল কালাম আজাদ, আয় হতো প্রায় ১০ হাজার টাকা। ছেলেরাও খরচ চালাতে গৃহশিক্ষকতা করতেন। ফলে সংসার চলে যেত। কিন্তু করোনার আঘাতে ওলট-পালট হয়ে গেছে সব। সবার আয়ের পথ বন্ধ। ঈদের পরে তিন ছেলেসহ চলে আসেন ঢাকায়, কিন্তু ভাগ্য বদলের চেষ্টায় সফল হননি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, তিনি বাধ্য হন অটোরিকশা চালাতে।

তিনি বলেন, ‘জমার টাকা দেয়ার পর দিনে ২০০ টাকার মতো থাকে। তবে বয়সের কারণে প্রতিদিন অটো চালাতে পারি না।’

সবার কাছে দোয়া চেয়ে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ছেলেদের পড়াশুনা শেষ করানোর চেষ্টা করছি, যাতে সুন্দর জীবন গড়তে পারে।’

এদিকে পরিবারটির খবর পেয়ে সম্প্রতি ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ হাফিজুর রহমান তাদের বাড়িতে যান। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করেন। পরিবারটি নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা করতে একটি সেলাই মেশিন দেন। এছাড়াও মেয়েদের অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..