প্রত্যয় ডেস্ক: ফ্রান্সে শিরশ্ছেদ করে স্যামুয়েল প্যাটি নামের একজন স্কুলশিক্ষককে হত্যার ঘটনায় অভিযানে নেমেছে পুলিশ। দেশজুড়ে চরমপন্থী মুসলিমদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই শিক্ষককে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণার বার্তা দেওয়ার অন্তত ৮০টি ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরইমধ্যে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকায় আরও ধরপাকড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৫০টিরও বেশি সংগঠনের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ফরাসি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী হিংসা ছড়াচ্ছে কিনা সেটিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সে রকম প্রমাণ পাওয়া গেলে এই গোষ্ঠীগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।
পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবারই ২৩১ জন চরমপন্থী ভাবধারার বিদেশিকে দেশছাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। তবে ওই শিক্ষকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা; সেটি জানা যায়নি। তবে দৃশ্যত হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্টদের বাইরেও ব্যাপক আকারে অভিযানের দিকে হাঁটছে প্যারিস।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, স্কুলে কার্টুন দেখিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বোঝাবার পরেই প্যাটিকে অনলাইনে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। ফতোয়াও জারি করা হয়। ওই স্কুলের এক ছাত্রীর বাবা ফতোয়া জারি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, একাধিক ব্যক্তি ওই শিক্ষককে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মধ্যে একজন অভিযুক্ত খুনির সঙ্গে গিয়ে অস্ত্র কিনেছিল। একজন হত্যাকারীকে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়েছিল। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ১৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত হত্যাকারীর নাম পুলিশ রেকর্ডে নেই। অর্থাৎ সে আগে কোনও অপরাধের জন্য পুলিশের নজরে আসেনি। সূত্র: ডিডব্লিউ।