প্রত্যয় ডেস্ক: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একজন শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিবিসি জানিয়েছে, স্যামুয়েল প্যাটি নামের ইতিহাস ও ভূগোলের ওই শিক্ষক ক্লাসে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন অভিভাবক অভিযোগ করেছিলেন। ওই ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের পর থেকে স্যামুয়েল হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন।
ফ্রান্সে বিতর্কিত সাময়িকী শার্লি এবদো মোহাম্মদ (সা.)-এর যেসব ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে, সেই ব্যঙ্গচিত্রগুলোর কয়েকটি ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নামে প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল। চলতি মাসের শুরুর দিকের ওই ঘটনার পর কয়েকজন মুসলিম অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন।
প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের শহরতলী এলাকার রাস্তায় স্যামুয়েলকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার। হামলাকারীও সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ১৮ বছর বয়সী চেচেন বংশোদ্ভূত ফরাসি। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে স্যামুয়েলের স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবা-মাও রয়েছেন।
এ হত্যার ঘটনাকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন এবং বলেছেন ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার’ শিক্ষা দিচ্ছিলেন বলে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এমন সময় শিক্ষক হত্যার ঘটনা ঘটল, যখন ২০১৫ সালে শার্লি এবদো পত্রিকার অফিসে হামলার বিচার চলমান। ওই হামলার ঘটনাও ঘটেছিল মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের কারণে।
ফ্রান্সে ইসলামপন্থীদের নামে হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। দেশটিতে ঘোষণা দিয়ে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়। বিষয়টিকে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে থাকে।
কিন্তু নিজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্যের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার বিষয়টি আদৌ বিবেচনায় নেয়া হয় কিনা, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।