বগুড়ার সংবাদদাতাঃ পিতার ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি করে ৫ লক্ষ টাকা চুরির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে এক দম্পতি শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক। পুলিশের বুদ্ধিমত্তা ও সঠিক তদন্তের কারণে সত্য ঘটনা বেড়িয়ে এসেছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম বদিউজ্জামান জানান, মোসাম্মাৎ সাবিনা(৩০) ২০০৬ সালে বিয়ে করেন মোঃ শহিদুল ইসলাম কে। ২০০৮ সালে তাঁর প্রথম সন্তান ফেরদৌস জন্ম নেয়। ২০১৪ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি সন্তানসম্ভবা সাবিনার স্বামী ব্যবসায়িক কাজে বগুড়া গেলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত হন। স্বামী মারা যাওয়ার ৭ মাস পর দ্বিতীয় সন্তান মোঃ শাহারুল এর জন্ম হয়। সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ ( দশ) লক্ষ টাকা পায়। তৎকালীন উপজেলা প্রশাসন শিবগঞ্জ তাদের ভবিষ্যৎ এবং সুখের কথা চিন্তা করে সাবিনাকে তার দেবর মোহাম্মদ ফারুক এর সঙ্গে বিয়ে দেয় এবং সরকারের দেওয়া অনুদান ১০ লক্ষ টাকার সাবিনাকে ৫ লাখ, তার বাবা আফজাল হোসেনকে ৩ লাখ, আর দুই সন্তানের নামে দুই লাখ টাকা ভাগ করে ব্যাংকে রেখে দেয়।
সাবিনা ও তার বর্তমান স্বামী ফারুক বাবার তিন লাখ টাকা কিভাবে নেওয়া যায় তার জন্য ফন্দি আঁটতে থাকে। অবশেষে দুইজন শলাপরামর্শ করে গত ০৬.০৭.২০২০ তারিখ সাবিনার নামে থাকা পাঁচ লক্ষ টাকা বগুড়া সোনালী ব্যাংক হতে তুলে এনে ঘরে রাখে। স্বামী স্ত্রীর পরামর্শে গত ৯ তারিখ উক্ত ৫ লক্ষ টাকা ফারুক ব্যাংক এশিয়ায় জমা রাখে। গত ১০ তারিখ সাবিনা উক্ত লাখ টাকা চুরির নাটক সাজিয়ে থানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
বিষয়টি তদন্তের জন্য শিবগঞ্জ থানার নবাগত ওসি এস এম বদিউজ্জামান এর নির্দেশনায় ইন্সেঃ ইনভেস্টিগেশন, এসআই মোস্তাফিজ এবং আকবরসহ ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি তদন্ত করেন। তাদের সন্দেহ হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা সবকিছু স্বীকার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ব্যাংক এশিয়ার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। সরকার কতৃক বাবাকে দেওয়া ৩ লাখ টাকা নেওয়ার লক্ষে তারা এই চুরির নাটক সাজায় বলে স্বীকার করে।