বিশেষ সংবাদদাতা:
বাংলায় ফের আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পাঠাচ্ছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কি বাংলার তৃণমূল সরকার ব্যর্থ? কেন্দ্রীয় সরকার কি এমনই মনে করে? তা না হলে তারা রাজ্যে ফের প্রতিনিধি দল পাঠাবে কেন? যদিও এ ব্যাপারে এদিন রাত পর্যন্ত রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে নানা মহলে নানা রকম জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও কেন্দ্রের দুটি প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছিল। তারা উত্তর ও দক্ষিণ বাংলায় করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে যেমন বারবার চিঠি দিয়েছে, তেমনই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও সেই তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব, এমনকী, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাজ্য সরকার যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কোনও সহযোগিতা করেনি সেই অভিযোগও রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও দল দুটি জানিয়েছে।
যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুধু বাংলাতেই নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে আরও দশটি রাজ্যে। সারা দেশে এই রাজ্যগুলিতেই করোনা সংক্রমণ হয় অত্যধিক, নতুবা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। তাই রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কারণ, অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, মে এবং জুন মাসে করোনা সংক্রমণ বেশি হতে পারে ভারতে। এই রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, রাজ্য সরকারগুলি যেন সেই সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে পারে। তাই রাজ্যগুলিতে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসে স্বাস্থ্য দফতরকে নানা ভাবে সাহায্য করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শও তারা রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দেবে। কোভিড চিকিৎসায় যে জায়গাগুলিতে ফাঁক রয়েছে বলে তারা মনে করবে, সে ব্যাপারেও রাজ্য সরকারকে অবহিত করবে। যদিও আগের দুটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক মধুর ছিল না, তাই এবারের প্রতিনিধি দলের সাহায্য রাজ্য সরকার কতখানি খোলা মনে গ্রহণ করতে পারবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক বিশেষজ্ঞ সংশয় প্রকাশ করেছেন।