‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের মধ্যে অতি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সে বিষয়টি তদারকি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বুধবার (১৪ এপ্রিল) যারাই রাস্তায় বের হচ্ছেন তারাই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুখে পড়ছেন। সকাল মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের জনগণের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এই লকডাউন সফল হবে বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
লোকজনের কাছে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অনেকেই মুভমেন্ট পাস দেখাতে পারছেন। অনেকেই যুক্তি দিচ্ছেন মুভমেন্ট পাস নিতে হয় যে ওয়েবসাইটটি সেটি অনেক স্লো ঢোকা যাচ্ছে না। সেজন্য তারা মুভমেন্ট পাস নিতে পারেননি। পুলিশ সদস্যদের কাছে অতি জরুরি মনে হলে তারা তাদেরকে যেতে পারছেন অন্যথায় অনেককে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
উত্তরা বিভাগের পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ঢাকায় ঢোকার প্রবেশপথ উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকা দিয়ে যারা ঢুকছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। এছাড়া মুভমেন্ট পাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হচ্ছে তারা এই পাসটি নিয়েছেন কিনা। কয়েকজনের কাছে মুভমেন্ট পাস থাকায় তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্যদের সেখান থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
শের-ই-বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সী বলেন, ‘অপ্রয়োজনে কেউ যেন বাইরে চলাফেরা করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট এবং মোবাইল ডিউটি করছি। এরই মধ্যে জনগণের কাছে আমরা এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি, জনসমাগম এড়িয়ে প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া বাইরে বের না হলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। আমরা মাঠে রয়েছি, যারা বাইরে বের হবেন মুভমেন্ট পাস নিয়ে যথাযথ কারণ উল্লেখ করে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়টি কর্মরত পুলিশ সদস্যদের অবহিত করবেন।’
মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী বলেন, গাবতলী এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। যারা এই পথটি দিয়ে ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করছেন তাদের যৌক্তিক কারণ সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবহিত হচ্ছেন। মুভমেন্ট পাস না থাকায় অনেককেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এসময় অনেকেই নিজেদের জরুরি কারণ এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি তারা।সূত্র :বাংলা ট্রিবিউন।
আরও পড়ুন : হেফাজত নেতা শরিফউল্লাহ রিমান্ডে