নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০/৫১ ব্যক্তি। নিহত ব্যক্তি কৈলাগ গ্রামের মৃত তারু মিয়ার ছেলে শফি মিয়া (৫০) বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রাহেলা ও কৈলাগ গ্রামের দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাহেলা ও কৈলাগ গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার কৈলাগ গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন আলমগীর হোসেন তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় সেখানে রাহেলা গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শরিয়ত আলী মিঠুর লোকজন আলমগীরকে আটকিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় একইদিন রাতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘটিত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ৫০/৫১ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের মধ্যে বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত শফি মিয়াকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাজিতপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।