বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার ৯৭১ জন।
সর্বশেষ বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৪ জন। বিশ্বে শনাক্তের দিক দিয়ে এটিই কোনো দেশে সর্বোচ্চ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্ত এবং মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৫ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৩ জনের।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এশিয়ার মধ্যে ভারতই হচ্ছে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ। ভারতে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৪ জন। আর মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৭৭ জন।
এরপর রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন, তুরস্ক ও জার্মানি।
আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। তবে দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগী আবারও বেড়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে একদিনে তিন হাজার ৫৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন আট হাজার ৭৩৮ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।