নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্ধ শতাধিক যাত্রী নিয়ে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৫ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক পরিবারের সদস্য এখনো নিখোঁজ।
নিখোঁজদের স্বজনদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁদের অনেক পরিবারের চার-পাঁচজনও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। প্রিয়জনদের মৃতদেহ পাওয়ার জন্য তাঁদের ভিড় এখন ঢাকার বুড়িগঙ্গাপাড়ে। তবে ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে এখনো মৃতদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডুবুরিরা। মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ নামের অপর লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। এর পরপরই লঞ্চে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা আপনজনের খোঁজে নদীপাড়ে আসতে থাকেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে বুড়িগঙ্গার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
অনেক স্বজনকে দেখা যায় নদীতে সাঁতার দিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ারও চেষ্টা করতে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। এ অবস্থা এখনো চলছে। ডুবুরিদের উদ্বৃতি দিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ডুবুরিরা দেখেছেন লঞ্চটির ভেতর আরো মৃতদেহ রয়েছে। তবে তা উদ্ধার কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা, লঞ্চটি উপুড় হয়ে থাকার কারণে ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
কর্মকর্তারা আরো জানান, ডুবুরিরা দড়ি ও অক্সিজেনের নল নিয়ে পানির নিচে ডুব দেন যা পানির ওপর নৌকায় থাকে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি যে অবস্থায় আছে তাতে অনেক সময় অক্সিজেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ কারণে বাকি লাশ উদ্ধারে এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তবু সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে সব লাশ উদ্ধারের।
আজ সোমবার (২৯ জুন) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। তবে স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, লঞ্চটিতে এর চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।