প্রত্যয় ইউরোপ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডনজুড়ে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। পরিস্থিতির অবনতিতে সেখানে তিন স্তরের কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, লন্ডনে ওই এক সপ্তাহে প্রতি ১ লাখ মানুষে ২৪১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইংল্যান্ডের যে কোনও অঞ্চলের তুলনায় এই সংক্রমণ সর্বাধিক।
লন্ডনের ভেতরে এবং এর আশেপাশের কিছু এলাকায় গত দু’সপ্তাহে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরিসংখ্যান একলাফে অনেক বেড়ে রেকর্ড গড়েছে।
অথচ একমাস আগেই পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ এর বিপরীত। নভেম্বরে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় লন্ডনে সংক্রমণের হার ছিল সর্বনিম্নের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে। প্রতি একলাখে ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছিল প্রায় ১৮৭ জনের।
অথচ সেই হিসাবে তখন ইয়র্কশায়ার এবং হাম্বারে প্রতি একলাখে ৪৪৩ জন রোগী শনাক্তের রেকর্ড দেখা গিয়েছিল। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহে লন্ডনের কেবল একটি এলাকায় সর্বোচ্চ কোভিড সংক্রমণ ছিল।
আর এখন লন্ডনজুড়েই করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা বেড়েছে। অন্যদিকে, ইয়র্কশায়ারে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে সর্বনিম্নে। সেখানে এখন প্রতি একলাখে ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে ১৭০ জনের।
লন্ডনে মহামারী পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে আগামী দিনগুলোতে তিন স্তরের কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন এমপি’রা। এই বিধিনিষেধ জারি করা হবে এসেক্স এবং হার্টফোর্ডশায়ারেও।
বুধবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নতুন বিধিনিষেধ। এতে পরিবারের সদস্য নয় এমন ৬ জন ঘরের ভিতরে, প্রাইভেট গার্ডেনে, আটডোর ভেন্যুতে মিলিত হতে পারবে না। তবে বাইরের খোলা জায়গায় যেমন পার্কে, সমূদ্র সৈকতে মিলিত হতে পারবেন।
দোকান পাট, জিম, ব্যক্তিগত কেয়ার সার্ভিস, সেলুন খোলা থাকবে। তবে বর, পাব, ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট সার্ভিস বন্ধ থাকবে। কিন্তু শুধুমাত্র টেইকওয়ে সার্ভিস দেয়া যাবে। খেলাধূলা সমর্থকদের থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।অভ্যন্তরিন ভেন্যু থিয়েটার বন্ধ থাকবে।
জনসাধারনকে টিয়ার থ্রি এলাকায় ভ্রমনে আসতে না আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।