প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে আন্দোলনের কারণে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। গণভোটের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পরই ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, সোমবার পর্যন্ত স্বৈরশাসক লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী মিনস্কসহ দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সংকট নিরসনের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি এবং ইইউ।
কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত দেশটির কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও এদিন আন্দোলনে যোগ দেন। রীতিমত জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজধানী মিনস্ক। সবার দাবি নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে লুকাশেঙ্কোকে। দেশটির ইতিহাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনের এমন নজির বিরল। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় ধন্যবাদ জানান বিরোধীনেত্রী মারিয়া কোলেস্নিকোভা।
তিনি বলেন, আপনাদের সমর্থনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভয় না পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি গর্বিত যে আপনাদের সঙ্গে এখানে একত্র হতে পেরেছি।
চলমান আন্দোলনের মধ্যেই শ্রমিকদের সমর্থন আদায়ে সরকারি একটি কলকারখানা পরিদর্শনে যান ২৬ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। এ সময় তিনি জানান, গণভোটের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পরই কেবল নতুন করে নির্বাচন দেবেন তিনি। আন্দোলনকারীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না বলেও সাফ জানান লুকাশেঙ্কো।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, কেউ কাজ করতে না চাইলে তাকে আমরা জোর করবোনা। আপনারা চাইলে যেকোনো সময় চলে যেতে পারেন। সময় এসেছে আমাকে সৎভাবে কথা বলার।
বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট। তার পদত্যাগের জন্য শ্রমিকরা স্লোগান দিতে থাকলে এক পর্যায়ে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন।
এদিকে, নির্বাচনের পরপরই লিথুয়ানিয়া চলে যান লুকাশেঙ্কোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধী নেত্রী ভিতলানা টিখানোভস্কায়া। সেখান থেকে জনগণের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বেলারুশ জনগণকে নেতৃত্ব দিতে তিনি প্রস্তুত।
এদিকে, শুরু থেকেই বেলারুশ সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদ করে আসা জার্মানি আবারো আন্দোলনকারীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধে লুকাশেঙ্কো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংকট নিরসনে জরুরি বৈঠক করেছেন ইইউ নেতারাও।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন