নিজস্ব প্রতিবেদক: উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’-এর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িগঙ্গা সেতুর ‘ভারী মেরামত’ প্রয়োজন হবে। দুর্ভোগ এড়াতে মঙ্গলবার রাতেই সেতুটি যাত্রীবাহী যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মেরামতের আগ পর্যন্ত ‘পোস্তাগোলা ব্রিজ’ নামে পরিচিত এ সেতুতে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অতিরিক্ত প্রকৌশলী (ঢাকা অঞ্চল) সবুজ উদ্দিন খান এসব তথ্য জানান। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পরিদর্শন করেন সওজ’র ডিজাইন উইংয়ের প্রকৌশলীরা। ১৯৮৮ সালে চীনের অর্থ সহায়তায় সেতু নির্মাণে সময় তত্ত্বাবধায়নে দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী রওশন আরা বেগম। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে অবসরে যাওয়া এ কর্মকর্তাও ছিলেন পরিদর্শন দলে।
সবুজ উদ্দিন খান জানান, সেতুর পূর্ব পাশের দু’টি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে। গার্ডার দু’টি মেরামত না-কি পুনর্নির্মাণ করতে হবে; তা এখনও নিশ্চিত নয়। ডিজাইন উইং আগামী চার পাঁচদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি জানান, যান চলাচল শুরু করতে তারা একটি ‘সেফটি গাইড লাইন’ তৈরি করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গার্ডারের উত্তর-দক্ষিণে ২০০ মিটার অংশে দুই লেনে যান চলাচল করবে। তবে ট্রাক, কভার্ডভ্যান, লরিসহ কোনো ধরনের পণ্যবাহী যান চলবে না। সেগুলো বাবুবাজার সেতু হয়ে বিকল্প পথে চলবে।
সোমবার ‘ময়ূর-২’ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় ‘মর্নিং বার্ড’ নামে অপর একটি লঞ্চ বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়। নিমিজ্জত লঞ্চকে উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার পথে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’র ক্রেন ধাক্কা খায় পোস্তাগোলা সেতুর গার্ডারে। এতে মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে চার লেনের এই সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক হাজার গাড়ি আটকা পরে সেতুর দুই পাশে।
প্রথমে ঘটনা সামান্য মনে হলেও পরে সওজ জানায় আঘাত গুরুতর। সংস্থাটি বলছে, বিআইডব্লিওটিএ’র জাহাজের গাফিলতিতে সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গার্ডার পুননির্মাণ করতে হলে, বহু টাকা ব্যয় হবে। সেতুও বন্ধ রাখতে হবে দীর্ঘ সময়।