রাজশাহী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস এখন বিশ্ববাসীর ত্রাস। পৃথিবীজুড়ে একটাই আতংক করোনা ভাইরাস।অশরীরী এই করোনা ভাইরাস চিনছেনা ধনী গরীব, চিনছেনা ধর্ম বর্ণ,চিনছেনা বয়স। সারা পৃথীবী জুড়ে করোনা ভাইরাসের কালো থাবার পাশাপাশি শুরু হয়েছে কান্নার আহাজারি। আক্রান্ত অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও চলছে কান্নার মাতম। মানুষ হয়েছেন কর্মহীন। ছেলেমেয়ের ক্ষুধার জ্বালায় কান্না দেখে অনেক পিতামাতা হয়েছে দিশেহারা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বসে নেই।করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ বিসর্জন দিয়ে কাজ করছেন ১৬কোটি মানুষের বিজয়ের জন্য। কেউ যেন অনাহারে না থাকে সে ব্যবস্থাও সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে।যদিও কোথাও কোথাও জনপ্রতিনিধি কর্তৃক ত্রাণ আত্মসাৎ এর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সরকার,উচ্চবিত্ত মানুষ, বিভিন্ন সংগঠন এর পাশাপাশি এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলো বিশ্বের একমাত্র নোবেলবিজয়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে তাদের সহযোগিতার রূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন।সবাই যখন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে ভাবলো তখন নোবেলজয়ী ব্যাংকটি ভাবলো ভিক্ষুকদের কথা। তারা সারা বাংলাদেশের হাজার হাজার ভিক্ষুকের মুখে ফোটালো সোনালি হাসি।মুছালো ভিক্ষুকদের চোখের জল। দেশের প্রতিটি শাখায় ৫জন সংগ্রামী (ভিক্ষুক) সদস্যদেরকে জনপ্রতি দিলেন চাল,ডাল,সাবান,তেল,আলু,মাস্ক, পিয়াজসহ ১৬০০টাকার খাদ্যদ্রব্য। তারই অংশ হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক রাজশাহী যোনের যোনাল ম্যানেজারর এর আদেশে যোনের শাখায় শাখায় দিচ্ছেন এই অনুদান। এরই মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক চাঁপাই নবাবগন্জ এরিয়ার একটি শাখা পাকড়ী গোদাগাড়ী। সেখানে তারা ৫জন ভিক্ষুকদের মাঝে জনপ্রতি ১৬০০টাকার খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করে এলাকাবাসীর প্রশংসায় সিক্ত হন। গ্রামীণ ব্যাংক পাকড়ী গোদাগাড়ী শাখার শাখা ব্যবস্হাপক মোঃ কামরুজ্জামানের সুচারু নেতৃত্বে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১৬০০টাকার খাদ্যদ্রব্য পেয়ে খুশী হয়ে কাকনহাট পৌর এলাকার সংগ্রামী সদস্য( ভিক্ষুক) সাফিয়ারা বলেন আমার বাড়ীতে কোন খাবার ছিলোনা। গ্রামীণ ব্যাংক যে খাবারগুলো দিলো আমার একমাস যাবে। একথা শুনে খুশীতে আত্মা ভরে গেল প্রতিবেদক কবি মুকুল হোসেন এর। করোনা ভাইরাস দুর হোক এই কামনা সকলের।মানুষ এভাবেই থাকুক মানুষের অন্তরে।বেঁচে থাকুক বিশ্বখ্যাত গ্রামীণ ব্যাংক নামের সুচারু প্রতিষ্ঠানটি।