কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৫০ এর ঘর ছুঁয়েছে। একই সঙ্গে উপসর্গ নিয়ে নতুন করে মারা গেছেন আরও তিনজন। গত বুধবার মারা যান চারজন। এই নিয়ে দুদিনে মারা গেলেন সাতজন। জানা যায়, নতুন করে আরও আটজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বমোট সংক্রমণের সংখ্যা ১৫০ স্পর্শ করল। মারা গেছেন তিনজন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ জন।
বৃহস্পতিবার পৌর শহরের কেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যান। তার বয়স ৫৫ বছর। পরিবারের সদস্যরা জানায় এক সপ্তাহের সময় ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। করোনা সন্দেহ হলেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়নি।
এই অবস্থায় ভোর থেকে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে এবং সকাল ৭টার দিকে মারা যান। উপসর্গ নিয়ে ভোর ৪টায় মারা যান পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকার ওলি বেপারির বাড়ির মো. ওয়াদুদ মিয়া। পরিবারের সদস্যরা জানান, ১০ দিন ধরে বৃদ্ধের জ্বরের সঙ্গে সর্দি ছিল। করোনা সংক্রমণ ছিল কি না- জানতে তারও নমুনা নেওয়া হয়নি। ভোর ৩টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং এক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি মারা যান।
সকাল ৮টার দিকে মারা যান আরও এক বৃদ্ধ। তিনি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। তিনিও পরীক্ষার বাইরে ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ঈদের পর থেকেই ভৈরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোকজনকে সচেতনতার জন্য চেষ্টা করেও জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করানো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ভৈরবের পরিস্থিতি খুব খারাপ পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান।