প্রত্যয় ইউরোপ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলাম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদের সা. অবমাননা করেছে ফ্রান্স। এ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা মুসলিম বিশ্ব।
বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক আসে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সুর কিছুটা নমনীয় হলেও মুসলিম নাগরিকদেরকে চাপে রাখে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ম্যাক্রোঁ।
ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্যা মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) নামক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।বৈঠকে ‘চরমপন্থাকে দমন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ’কে ধারণ করার ব্যাপারে মুসলিম নেতাদের ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্সে বসবাস করতে হলে অবশ্যই এ দেশের আদর্শকে মেনে নিতে হবে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, আমরা ইসলামকে অসম্মান করতে চাই না। কিন্তু এর নাম দিয়ে যেভাবে মুসলমানদেরকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়া হচ্ছে, তা কখনোই মেনে নেবো না।চরমপন্থার কাছে আমরা মাথা নত করবো না। মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্য করে ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্সে বসবাস করা সব মুসলমানদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে প্যারিসের স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হত্যার মধ্য দিয়ে উত্তেজনা শুরু হয় ফ্রান্সে। মোহাম্মদের (সা.) কার্টুন দেখিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাখ্যা করেছিলেন।
তারপর থেকেই দেশজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অপারেশন ও তদন্ত শুরু করে ফরাসি পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মসজিদ। মুসলিম বিশ্বে শুরু হয় ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ।