1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

যে ৩ টি কারণে অস্থির চট্টগ্রামের চালের বাজার

  • Update Time : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০
  • ২১৬ Time View

প্রত্যয় নিউজডেস্ক: দেশে পর্যাপ্ত ধান–চাল মজুদ থাকার পরও চট্টগ্রামে বেড়েই চলেছে চালের দাম। কোরবানি ঈদের পর থেকে নগরের পাইকারি চালের বাজার অস্থিরশীল। কোনোভাবে চালের দামের লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে কেজিপ্রতি বেড়েছে পাঁচ থেকে ছয় টাকা।

হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তবে ব্যবসায়ীরা চালের বাজারের অস্থিরতার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণকে দায়ী করেছেন।

নগরের বৃহত্তম পাইকারি বাজার পাহাড়তলী, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের চাল ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা, বেশি দাম সরকারের ধান–চাল সংগ্রহ এবং চাল আমদানি শুল্ক বাড়তি থাকার কারণে চালের দাম বেড়েছে।

শনিবার (২২ আগস্ট) চাক্তাই ও পাহাড়তলীর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বর্ণা সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৬০ থেকে ২ হাজার ২৬৫ টাকায়। কোরবানি ঈদের আগে এই চালের দাম ছিল দুই হাজার টাকার নিচে। বেতি আতপ ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। নাজিরশাইল সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা কোরবানির ঈদের আগে ১ হাজার ২৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৮০ টাকায়।

মিনিকেট আতপ ২৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। দিনাজপুরী পাইজাম ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা সিদ্ধ চাল যেটা ১ হাজার ৬০০-১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হতো, সেটাও ২০০ টাকা বেড়েছে। চিনিগুড়া চালের বস্তা ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে এর দাম বাড়েনি। পাইকারি বাজারের প্রভাবে খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা দরে।

দাম বাড়ার বিষয়ে চাক্তাই চাল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. জামাল জয়নিউজকে বলেন, বন্যার কারণে গত সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে। তবে আজ থেকে কেজিপ্রতি দুই-তিন টাকা কমেছে। এখন চালের বাজার স্থিতিশীল বলে তিনি দাবি করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার ধান–চাল মজুদ করার কারণে চালের দাম বাড়ছে। সরকার ধান–চাল কেনা বন্ধ করলে চালের দাম কমে যাবে। এছাড়া অনেকদিন ধরে চালে আমদানি শুল্ক বাড়তি। সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিলে তাহলে আমদানিকারকরা চাল আমদানি করবে। তখন চালের দাম স্বাভাবিক থাকবে।

তবে বৃহত্তম পাইকারি বাজার পাহাড়তলী, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের চালপট্টিতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুদ আছে।

সাধারণ মানুষ বলছে, চালকল মালিক ও পাইকারি বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বাড়তি দামে চাল বিক্রি শুরু করেছে। এখন বন্যার অজুহাতে আরেক দফা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

চাক্তাই দরবার স্টোরের মালিক দোলন মহাজন জানান, বাজারে তেমন চালের ক্রেতা নেই। কিন্তু চালের দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা রাইস মিলের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনেছি। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করছি।

চাক্তাই রাইচ মিল সমিতির সভাপতি শান্ত দাশগুপ্ত জয়নিউজকে বলেন, বেশিভাগ চাল আসে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ থেকে। সেসব অঞ্চলে এখন বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে ধানের দাম বাড়াতে চালের দামও বেড়েছে। এছাড়া সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করায় চালের দাম বাড়ছে। বর্তমানে চাল আমদানি শুল্ক ৬৫ শতাংশ। যার কারণে এখন বিদেশ থেকে চাল আমদানি হচ্ছে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) চালের দাম বৃদ্ধি যাচাই করতে খাতুনগঞ্জের চালপট্টিতে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বেশি দামে চাল বিক্রি, মূল্যতালিকা না টাঙানো এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে চার জন চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে চালের দাম না বাড়ানোর জন্য তাদের সতর্ক করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..