চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি প্রতিনিধি
জনবল সংকট অন্য দিকে পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা। বছরের পর বছর ধরে এমন সব সমস্যায় জর্জরিত। এভাবেই চলছে বন বিভাগ। এতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা এবং ক্ষোভ। বন অধিদপ্তরে সারাদেশে নিয়োজিত প্রায় ১৭ শত ফরেষ্ট গার্ড। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে পদোন্নতি না পেয়েই অধিকাংশেরই চাকুরী জীবনের টানতে হয়েছে ইতি। বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফরেস্ট গার্ডদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। কখনো ক্যাম্প ও বিট অফিসার, কখনো রেঞ্জ সহকারী, কখনো অফিস সহকারী, কখনো কম্পিউটার অপারেটর, কখনো ওয়ার্লেস অপারেটর, কখনো সার্ভেয়ার, কখনো বন মামলা পরিচালকের সহকারী শুধু তাই নয় কখনো কখনো তাদের হতে হয় নৌকার মাঝি ও। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ কাঁধে বহন করে ঝড় বৃষ্টি বাদল জলোচ্ছ্বাস প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বনের হিস্র প্রানির আক্রমণ মোকাবেলা করে বনভূমি বনজ সম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা করে যাচ্ছে।
বনবিভাগের সারাদেশের বিরান ভূমিতে বাগান সৃজনের দায়িত্ব ও ফরেষ্ট গার্ডদের উপর ন্যাস্ত করা হয়। বনভূমি, বনজ সম্পদ , বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে গিয়ে প্রভাবশালী ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও দুষ্কৃতকারীদের হাতে অপমানিত লাঞ্চিত এমনকি দুষ্কৃতকারীদের অস্ত্রের আঘাতে নিহত ও আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে অনাহারে-অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় দিনানিপাত করছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের নিঃশ্বাসের অক্সিজেনের যোগান দিচ্ছে বনাঞ্চল আর তাকে রক্ষা করছে বনবিভাগের অন্যান্যদের পাশাপাশি ফরেস্ট গার্ডেরা। অথচ তারা নির্যাতিত নিপীড়িত অবহেলিত পদোন্নতিবঞ্চিত। বন অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উচ্চ বিলাসিতা অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে বলির পাঠা হয়েছে ফরেস্ট গার্ডেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, চাকুরী স্থায়ীকরণ ও নিয়মিতকরণের অজুহাত দেখিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পদোন্নতি। চাকুরীর সময়কাল তিন বছর পূর্তি হলেই স্থায়ীকরণ ও নিয়মিতকরণের বিধি বিধান থাকলেও সেই বিধানের কোন তোয়াক্কাই করেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বন অধিদপ্তর থেকে ফরেস্ট গার্ডদের পদোন্নতির জন্য চাকুরি নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণ করে সার্ভিস বুক চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা একই দিনে স্থায়ীকরণ ও নিয়মিতকরণ করে সার্ভিস বুক প্রেরণ করেন এতে দেখা যায় সিনিয়র জুনিয়র হয়ে গেছে আর জুনিয়র সিনিয়র হয়ে গেছে। এ দায়ভার কার ? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকি কর্মচারীর ?? এমনিতে বনবিভাগে রেঞ্জার পদও সংকট । কিছু রেঞ্জার নন ক্যাডার হিসাবে পদন্নোতি পেয়ে বিভাগীয় ডিএফও দায়িত্বে আছেন অনেকেই অবসরে গেছেন। এই অবস্থায় বনবিভাগের শৃংখলা ফিরে আনতে জরুরী হয়ে পড়েছে ।