সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর সংক্রমণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা মোহাম্মদ মনির গাজী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত মনির নাটোরের নলডাঙ্গা থানার মাধনগর গ্রামের আলম গাজীর ছেলে। মৃত যুবকের স্বজনদের দাবি, তিনি হামে আক্রান্ত ছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ জানান, শুক্রবার রাতে মনির গাজী (১৯) চার দিনের জ্বর নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। তার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিলো না। তার শরীরে র্যাশ ছিলো। তবে তার সর্দি কিংবা শ্বাসকষ্ট ছিলো না। রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আইডি হাসপাতালের আইসোলেশনে স্থানান্তর করেন। শনিবার সকালে সে মারা যায়। তার শরীরে করোনা ভাইরাস ছিলো কিনা, তা জানতে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে, মনির গাজীর ভ্যানচালক পিতা আলম গাজী জানান, ৫-৬ দিন আগে হামে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তাকে গ্রামের চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেন। কিন্তু তারপর তার শরীর কুঁকড়ে গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে নাটোর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে রাজশাহী আনা হয়। রামেক হাসপাতালের জরুরিবিভাগে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনা রোগীদের আইসোলেশন কেন্দ্র আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ডিডি) সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ওই যুবক হামে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে চিকিৎসার খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি বলে বিষয়টি সম্পর্কে তারা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
তিনি আরো বলেন, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন এমনটিও তারা মনে করছেন না। তবে করোনার পরীক্ষার জন্য মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।