প্রত্যয় ইউরোপ ডেস্ক:তুরস্কের পর এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার অভিযোগ, আফ্রিকায় এন্টি ফ্রান্স সেন্টিমেন্ট গড়ে তুলতে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়াও অর্থায়ন করছে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি কোনো অর্বাচীন বিষয়ে কথা বলছি না। অনেকেই বলেন, কে কণ্ঠ দেয়, কে ভিডিও বানায়, কে ফ্রেঞ্চ ভাষায় গণমাধ্যমে উপস্থাপন করে? -এগুলো রাশিয়া অথবা তুরস্ক অর্থায়ন করে।প্যারিস ভিত্তিক সাপ্তাহিক একটি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এ বক্তব্য শুক্রবার প্রকাশ করেছে এএফপি।
এএফপি জানায়, শুক্রবার আলোচিত ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের ম্যাগাজিন জিউন আফ্রিক।
সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, গত মাসে নবী মুহাম্মদের একটি ব্যাঙ্গচিত্র যখন প্যারিসে (ফ্রান্সের রাজধানী) স্কুলে একজন শিক্ষক তার ক্লাসে বৈধভাবে প্রদর্শন করেন সেটা নিয়ে তুরস্ক ভুল বুঝাবুঝি তৈরি করতে ব্যাপক অবদান রাখে।
ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি যখন ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়। এটা মুসলিম ব্রাদারহুডের মাধ্যমে তুরস্ক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়। যার কারণে এটা জনমতের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব সৃষ্টি করে। এটা স্বাভাবিকভাবেই সাহারাসহ আফ্রিকাতেও তার প্রভাব পড়েছে।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি আসলে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিইনি, আমি বক্তব্য দিয়েছি ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। ’তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কথা বলি না, আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করি।আফ্রিকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপের সঙ্গে কথা বলছি, কিন্তু কোনো সন্ত্রাসীদের মদতদাদাদের সঙ্গে নয়।
গত কয়েক মাসের মধ্যে সিরিয়া, লিবিয়া ও ভূমধ্যসাগরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্কের সঙ্গে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রয়েছে ফ্রান্স। তুরস্কের বিভিন্ন পদক্ষেপে সবার আগে সরব হচ্ছে তুরস্ক। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাতে তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে সেজন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এখনই তুরস্কের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়নি।