নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্মার্ট বাংলাদেশে এই ধরনের দাবি দেখলে কেমন যানি লাগে। এইগুলা তো সিটি করর্পোরেশন এর দায়িত্ব তাইলে কেন বছরের পর বছর ফালায়া রাখছে।
মাত্র ২০০ গজ রাস্তা এই সিটি কর্পোরেশন কি কইরা দিতে পারে না? প্রায় ৩,৪ বছর আগে এই রাস্তার কাজ ধরেছিলো পরে ১৫ দিনের মাথায় খাল হয়ে যায়। অভিযোগ গুলো রাজধানীর সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি মহাবিদ্যালয় আর বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টি নামতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ঢোকার একমাত্র রাস্তা পানির নিচে চলে যায়। কাঁদামাটি লেগে থাকে বারোমাস। ড্রেনের পানি রাস্তায় জমে এক ভয়াবহ কর্দমাক্ত রাস্তায় পরিনত হয়। গাড়ি চলাচল তো দুরের কথা, হেটেঁ আসার উপায় থাকেনা। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী, সাধারন মানুষ এই পথ দিয়ে চলাচল করে। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু কলেজের ১,৮০০ শিক্ষার্থীর যাতায়াতের এই একটি পথ। ঢাকা মহানগরের প্রায় ১০টি থানা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। প্রতিদিন এই রাস্তায় জমে থাকা কাঁদা ময়লা পানিতে তাদের পোশাক নষ্ট হয়। ক্লাসে উপস্থিতি দিনদিন কমে যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে দাবি জানিয়েছে রাস্তাটি ঠিক করে দেওয়ার। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রাস্তাটির বেহাল দশা দেখার যেনো কেউ নেই। দেখেও না দেখার ভান। কয়েক বছর ধরে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া মেলেনি।
আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীরা জানায়, রাস্তাটি খুব বড় নয়। হাজীক্যাম্প থেকে কলেজ পর্যন্ত দুরত্ব মাত্র ২০০ গজ। অথচ এই সামান্য রাস্তাটি ঠিক করার জন্য বছর চারেক তাগাদা দিয়েও সমাধান হচ্ছেনা। তাঁরা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার মহাউন্নয়নযজ্ঞ চালাচ্ছেন সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাবার নামে নামকরণকৃত কলেজের সামনে সামান্য রাস্তা ঠিক করতে না পারাটা জনপ্রতিনিধিদের জন্য ব্যর্থতা। ২০০ গজ রাস্তা ঠিক করতে বাজেট পাশের দরকার হয়না। জনপ্রতিনিধিগণ চাইলে রাতের ব্যবধানে রাস্তাটুকু ঠিক করে দেওয়া যায়।’