ওয়েব ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন অতি সন্নিকটে। বিনাভোটের সরকারের পতনঘণ্টা বেজে গেছে। এমপি-মন্ত্রীদের বক্তব্যই প্রমাণ করে ভোটচোর সরকারের পতন খুবই নিকটে। তাই আওয়ামী লীগ উসকানি দিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, কিন্তু দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছ থেকে তারা ক্ষমতা হারানোর সিগন্যাল পেয়ে গেছেন। জনগণ এখন আওয়ামী থেকে মুক্তি চায়। তারা দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশ আজ অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ দলবাজ দিয়ে আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই। তাই গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের হল রুমে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) চট্টগ্রাম জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেটেব চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাই সোহেলের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল হকের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেটেব কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেটেব কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, চট্টগ্রাম জেলা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি।
সন্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাই সোহেলকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার শফিউল আলম সিনিয়র সহ-সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল হক সাধারণ সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল আহসান নাঈম যুগ্ম সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ আল মুমিন সাংগঠনিক সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে নিয়ে একটি সিনেমা বানিয়েছে। সেটা সিনেমা হলে গিয়ে তারা দেখছে, আবার তারাই কান্নাকাটি করছে। অথচ বাজারে গিয়ে অসহায় মানুষের কান্না তারা দেখছে না। আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা লুটপাট করে আরাম-আয়েশে আছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। মানবাধিকার আজ তপ্ত বুলেটে ক্ষতবিক্ষত। গোটা জাতি আজ সরকারের কাছে জিম্মি। যেখানে মানুষ বিচার পাওয়ার কথা, সেই বিচারালয় এখন বিচারক লীগ হয়ে গেছে। তারা তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে বাধা দিচ্ছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ মারাঠি বর্গীদের বিদায় করতে হবে।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম আবুল ফয়েজ, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, অ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম মো. সেলিম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেটেবের উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব সম্রাট, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল আলম, বিএনপি নেতা আলমগীর নুর, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নুরুন নবী, আফরোজা বেগম জলি, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন, মোরশেদ হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার আলতাফ হোসেন, সৌরভ প্রিয় পাল প্রমুখ।