প্রত্যয় ডেস্ক: আজ থেকে বছর পঞ্চাশেক আগে ভার্জিনিয়ার একটি ন্যাশনাল পার্কের রেঞ্জার ছিলেন রয় সুলিভান। মানুষটা ছিলেন ভারি অমায়িক। কারো সাতপাঁচে তেমন একটা থাকেন না।
আকাশি কলারবন্ধ শার্ট-টাই আর কালো ট্রাউজার পরে জঙ্গলের দেখাশোনা করেন। এই ভালো মানুষটাই বিশেষ রেকর্ড করে গিনেস বুকে নাম করে নিয়েছেন। রেকর্ড মতো, ১৯৪২ সালে প্রথমবার তার মাথায় বাজ পড়ে। কিন্তু সুলিভান সবাইকে অবাক করে দিয়ে বেঁচে যান। এরপর ১৯৬৯, ৭০, ৭২, ৭৩, ৭৬ ও ৭৭ সালে একেকটি বাজ আকাশ ফুঁড়ে এসে এই মানুষটিকে আঘাত করতে থাকে। সাধারণত মানুষের সারা জীবনে ঘাড়ে বাজ পড়ার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও বহু কম। বেঁচে থাকার সম্ভাবনা তো দশমিকেও কল্পনা করা যায় না।
কিন্তু কোনো এক অলৌকিক ক্ষমতায় সাত-সাতবারই বজ্রাঘাতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বোঁচে যান তিনি। অথচ এই রয় সুলিভান ১৯৮৩ সালে ৭১ বছর বয়সে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। তারপরও বারবার প্রকৃতির দুর্দান্ত এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তার রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আজও রহস্যময়।