প্রত্যয় নিউজডেস্ক: অনেকের মতে ভোট শুরুর আগেই একটা জায়গায় প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে কাজী মো. সালাউদ্দিন। নির্বাচনে দুটি প্যানেল এবং স্বতন্ত্রভাবে কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে প্যানেল দুটি হলেও পূর্ণাঙ্গ কেবল কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। ২১ পদের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে এই পরিষদ। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ পূর্ণ প্যানেল দিতে পারেনি।
নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক বছর ধরে যে মেরুকরণ সেখানে সালাউদ্দিন বিরোধীদের প্রধান লক্ষ্যই ছিল সভাপতি পদে পরিবর্তন। ২১ সদস্যের কমিটি হলেও সবার সমালোচনার প্রধান লক্ষ্য ছিল কাজী মো. সালাউদ্দিন। মনে হয়েছিল এক ব্যক্তির কারণেই দেশের ফুটবল রসাতলে। কিন্তু নির্বাচনে সেই সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দেয়নি সমন্বয় পরিষদ।
তবে কাজী সালাউদ্দিন ঝুঁকিমুক্ত নন। কারণ, দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তার বিরুদ্ধে। বাদল রায় নির্বাচনে আছেন কি নেই সেটা এক রহস্যের নাম। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আবার প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু নিয়মমতো প্রত্যাহারের আবেদন না করায় ব্যালট পেপারে তার নাম থাকছে বৈধ প্রার্থী হিসেবেই। বেশি ভোট পেলে তিনিই সভাপতি হয়ে যাবেন।
বাদল রায় নিজের জন্য প্রকাশ্যে ভোট চান না। আবার সভাপতি পদে পরিবর্তনও চেয়েছেন। ভোটররা তাকে ভোট দেবেন নাকি আরেক প্রার্থী শকিফুল ইসলাম মানিককে দেবেন- সেটাই পরিস্কার করেননি সাবেক এ তারকা ফুটবলার।
একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিলেও কাজী মো. সালাউদ্দিন ত্রি-মুখী লড়াইয়ের সম্মুখীন। তার পরিষদের বিপক্ষ প্যানেল এবং তার বিপক্ষে দুই জন। সবদিক সামলে তিনি নিজে এবং তার প্যানেলের পক্ষে ভোটে কতটা সফলতা আনতে পারবেন সেটাই দেখার।
সমন্বয় পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আসলাম। ২১ পদের মধ্যে তার পরিষদ প্রার্থী দিয়েছে ১৯ টিতে। চার সহসভাপতি পদের বিপরীতেও তাদের একজন প্রার্থী কম আছেন। পুরো প্যানেল দিতে পারেনি কাজী মো. সালাউদ্দিনের প্রতিপক্ষ সমন্বয় পরিষদ। ভোটের লড়াইয়ে একটা বড় এক ঘাটতি। এই জায়গায় সম্মিলিত পরিষদ রয়েছে এগিয়ে।