দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ যশোরের মণিরামপুর থেকে অপহৃত প্রবাসীর স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশের একটি টিম। আটক করা হয়েছে অপহরণের সাথে জড়িত স্থানীয় এক মেম্বারসহ তিনজনকে। একইসাথে উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকালে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচামা গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৬ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলো- বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ধামাচাপা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে জুয়েল আহমেদ, একই গ্রামের ইউপি মেম্বার আলমগীর হোসেন ও তার ভাই মামুন উর রশিদ।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমেদ জানান, মণিরামপুর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমান গাজীর স্ত্রী রিমা খাতুনের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ধামাচাপা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল রানা। গত ১ জুন আকস্মিক নিখোঁজ হন রিমা খাতুন। পরে তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে সোহেলের নির্দেশে তার ছোটভাইসহ কয়েকজনকে রিমাকে মাইক্রোবাসযোগে এসে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় রিমা তার স্বামীর পাঠানো ৩৬ লাখ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ১৬ জুন রিমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মণিরামপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। ওসি মারুফ আহমেদ আরো জানান, পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচাপা গ্রামের সোহেল রানার ভাই জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রিমা খাতুনকে উদ্ধার করা হয়। একইসাথে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমগীর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণের সাথে জড়িত জুয়েল আহমেদ, আলমগীর হোসেন ও মামুন উর রশিদকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামিরা টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতানোর উদ্দেশে রিমা খাতুনকে কৌশলে অপহরণ করে এবং তাকে নিয়ে আটকে রাখে।ওসি মারুফ আহমেদ আরো বলেন, শুক্রবার বিকেলে অপহৃত রিমা খাতুন ও আটক তিন আসামিকে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এসময় রিমা খাতুন দন্ডবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়া আটক তিনি আসামি আদালতে অপহণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত রিমা খাতুনকে তার পরিবারের হেফাজতে দেন এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন