1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

হত্যার আসামি অস্ত্র সহ গ্রেফতার

  • Update Time : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০
  • ১৮২ Time View

মো:নুরনবী শেখ শিবগন্জ(বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার শহরতলীর আকাশতারা এলাকায় সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু তালেব(৩৫) কে গত ১৪ জুন রবিবার দুপুর দেড়টায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৯জুন সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের বারপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।বগুড়ার সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাতন চক্রবর্তী জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে তালেব হত‍্যার আসামিরা শহরতলীর বারপুর এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে

বগুড়ার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার নির্দেশে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার একটা চৌকস টিম ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস‍্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি চাঁন মিয়া এবং বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা কে আজ(১৯/৬/২০২০) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের বারপুর এলাকা থেকে রক্তমাখা পোশাক পড়া অবস্থায় গ্রেফতার করে।

তিনি আরো জানায় ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়ানোর কারনে তারা পোশাক পরিবর্তন করতে পারেনি বলে জানায় গ্রেপ্তারকৃতরা জানান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।এসময় তাদের নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র আকাশতারা বগুড়া – গাবতলী রোড সংলগ্ন (এশিয়ান পেইন্ট এর গুদামের সাথে)ইউক্যালিপটাস বাগানের ভিতর থেকে আসামিদ্বয়ের দেখানো মতে উদ্ধার করা হয়।

অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদ্বয় পুলিশকে আরো জানায় মামলার আসামি তিনজনই একসাথে চলাফেরা করে।তারা প্রায় সবসময় বার্মিজ চাকু বহন করে থাকে। ১ নম্বর আসামি ফিরোজ @ ফোকরার সাথে খুন হওয়া তালেবের পূর্বে ভাল সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। চাঁন এবং বাপ্পার সাথেও তালেবের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তালেব বিভিন্ন সময়ে তাদের বিভিন্ন ইস্যুতে ডাকলেও তারা যেত না। তালেবের বড়ভাই সুলভ আচরণ তিনজনের কেউই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।

ঘটনার দিন এই তিনজন ঘটনাস্থলের পাশে আইয়ুবের দোকানে পান খাচ্ছিল। এমন সময় তালেব একটা মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে আসে। মোটরসাইকেল থেকে নেমে সে চাঁনকে ডাক দিলে তিনজনই এগিয়ে যায়। তালেব চাঁনকে জিজ্ঞেস করে “কিরে,কথা শুনিস না কেন, বেশি সেয়ানা হয়ে গেছু? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাঁন চাকু বের করে তালেবের বুকে আঘাত করলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পিছন থেকে তিনজনই তালেবকে এলোপাথারি ছুড়ি মারতে থাকে।তালেব মাটিতে পড়ে যাবার পরেও তারা মারতে থাকে । এ সময় ফিরোজের চাকুর আঘাতে তালেবের শ্বাসনালী প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।তাদের নিজেদের এলোপাথারি কোপে চাঁনের ডান হাতের কনে আংগুল এবং ফিরোজের ডান কনুই কেটে যায়।

ঘটনায় জড়িত অপর আসামি ফিরোজ @ ফোকরাকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..