নিউজ ডেস্ক:৭ মাস আগে মারা যওয়া বাবার স্বপ্ন ছিলো মেয়ে বিসিএস ক্যাডার হবে,বাবার অপরিপূর্ণ থাকা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বিয়ের পরও চেষ্টা করে যাচ্ছিলো।সেখানে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই চাইতো সে শুধু ঘরের কাজ করবে,এসব চাকরিবাকরির তারা চায়না।সাংসারিক ঝামেলা মূলত সাংসারিক কাজ নিয়ে বেশি ছিলো।২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল বিয়ে হয়ে বোনটির।আজকেসহ ৪২ দিন হলো তার একটা বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, মেয়ের মা জামাইকে ২/৪ টা কথা বললে সে মেয়েকে ফোন দিয়ে বলে-“তুই বেশি বাড় বেড়ে গেছিস,হ্যানত্যান হুমকি ধামকি। এই ফোনকলের পর মায়ের অনিচ্ছা স্বত্তেও মেয়ে শনিবার দুপুর ১২ঃ৩০ দিকে শ্বশুরবাড়িতে যায়।একরাত পার না হতেই লাশ হতে হয় সুমাইয়াকে।
আজ সকাল ৭ঃ৩৫ মিনিটে মেয়ের শ্বশুর মেয়ের মাকে ফোন করে মেয়েকে দেখতে হসপিটালে যেতে বলে।মেয়ের কী হয়েছে জানতে চাইলে বলে-গেলেই দেখতে পারবেন।মা,আর ভাই যেয়ে দেখে তহসপিটালে শ্বশুরবাড়ির কাছের কেউ নাই।কোনো দূরসম্পর্কের চাচা-চাচী ছিলো।
ডাক্তার বলছেঃগলায় ফাঁসি দিয়ে মরলে গলার কোন একপাশে দাগ থাকবে কিন্তু সেরকম কোনো দাগ ছিলোনা।পুলিশ শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেখানে শাশুড়ী-আর ২ টা ননদকে পায়।স্বমী-শ্বশুর পলাতক।তাদের জেরা করলে তারা একেকবার একোকটা কথা বলে।ওড়না দেখায় যেটা দিয়ে ফাঁসি দিছে বলে দাবি করে।তারা বলছে সকালে দুজনে ফজর নামাজ পড়ছে একসাথে অথচ ময়নাতদন্ত বলছে সুমাইয়া মারা গেছে রাত ১২ টা নাগাদ।
এসবের উপর ভিত্তি করে পরিবারে সম্বল ভাই, মা জোরালোভাবে দাবি করছে এটা কখনো আত্মহত্যা হতে পারেনা, এটা নিশ্চতই হত্যা।সেজন্য পরিবার নিকটস্থ থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করার জন্য গিয়েছিল।ভাই বলছে আমার বোন সবসময় হাদিস-কুরআন পড়ে বলতো কোন হাদিছে কী বলা হয়েছে,এমনকি আত্মহত্যা কতটা মহাপাপ, করলে তার পরিণাম পরকালে কত ভয়ানক হবে তা পরিবারকে শোনাতেন।এমনকি,ভাই জানিয়েছেন “হয়তো শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকাপয়সার জন্য আপুকে চাপ দিতো,কিন্তু আপু তা কখনো মাকে বলেনি।যেহেতু আপু জানতো পিতা না থাকা পরিবারের অবস্থা”। শ্বশুরবাড়ির লোকজন নাকি এলাকায় প্রভাবশালী।