1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, ৮ দফা দাবি

  • Update Time : সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৫২ Time View

ওয়েব ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে ও হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে জামালপুরের সনাতনী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গতকাল শহরের দয়াময়ী মোড়ে কয়েকশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আট দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, জামালপুর জেলা শাখা ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এতে অংশগ্রহণ করে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে দয়াময়ী মোড় থেকে গেইটপাড়, ব্রিজ রোড ও শহরের যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দুর্জয় চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট রাত থেকে সারা দেশে বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় হিন্দুদের বাসাবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষই কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তারা।

সমাবেশে ‘প্রশাসন চুপ কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘মিডিয়া চুপ কেন, জবাব চাই জবাব চাই ’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছ’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

এ সময় আট দফা দাবি তুলে ধরেন সনাতন শিক্ষার্থী নীলা সরকার। দাবিগুলো হলো—
১। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে।
৩। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
৪। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টিকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।
৫। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ করতে হবে।
৭। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড, আধুনিকায়ন করতে হবে।
৮। শারদীয় দুর্গাপুজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে।

বক্তরা বলেন, আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এ দেশের নাগরিক। এ দেশ থেকে আমরা অন্য দেশে যাব না। সকল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে এই বাংলাদেশ সবার। স্বাধীন বাংলাদেশে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। সংখ্যালঘুদের ওপর কেন হামলা করা হচ্ছে। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..