বিশেষ সংবাদদাতা:
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল পশ্চিমবাংলা সরকার। তবে এতদিন সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি। গত বুধবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের কথা জানান। জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত বিভাগের প্রধানকে চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে সে কথাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই এই হাসপাতালের সমস্ত ওপিডি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৮৫ বছরে এই প্রথম কলকাতা মেডিক্যালের সমস্ত আউটডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে খোলা থাকছে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি। এ ছাড়া ফিভার ক্লিনিক, এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে এআরটি সেন্টার, জরুরি বিভাগেও চিকিৎসকরা রোগীদের দেখবেন। তবে জরুরি বিভাগে রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এবার থেকে কলকাতা মেডিক্যালকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রথমে পাঁচশোটি শয্যা নিয়ে হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা শুরু হবে।
রাজ্যে যে ভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, সেইজন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৭৮৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯। আরও ৭২ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কো–মর্বিডিটির কারণে মারা গিয়েছেন। শনিবার কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯১১ জনে। ফলে পুরোপুরি উন্নত মানের একটি কোভিড হাসপাতালের প্রয়োজন ছিল। কলকাতা মেডিক্যাল কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় করোনা রোগীদের উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা।