প্রত্যয় নিউজডেস্ক: নিখোঁজের পাঁচ দিনের মাথায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সুজন (২০) নামে এক কলেজছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাজামপাড়া গ্রামে মাঠে মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সুজন উপজেলার আউশিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জিল্লুর রহমানের ছেলে। তাকে কুপিয়ে হত্যা শেষে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
নিহত সুজনের চাচা রফিকুল ইসলাম রবি জানান, গত রোববার (২০ সেপ্টম্বর) বিকেলে সুজন সার আনতে আউশিয়া বাজারে যায়। সেখানে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় পাওনা ৮০০ টাকা নেয়ার জন্য জনৈক রাকিব মোবাইল করে। রাকিব সে সময় সুজনকে তার ছোট ভাই সাকিবের মোটরসাইকেলে চলে আসার জন্য জানালে চায়ের দোকান থেকে সুজন সাকিবের মোটরসাইকেলে চলে যায়। বাজারের অনেকেই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। সেই থেকে নিখোঁজ ছিল সুজন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাওনা টাকা আনতে গিয়ে কলেজছাত্র সুজন আর বাড়ি ফেরেনি বলে শৈলকুপা থানায় একটি জিডি করেছিল পরিবার। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিব ও নাজমুল নামে দুইজনকে আটক করে। সাকিবকে আটকের পর থেকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
তিনি জানান, এদিকে নিখোঁজের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাজামপাড়া গ্রামে মাঠের পানির বরিংয়ের সাইডে মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।