ওয়েব ডেস্ক: শেখ হাসিনার চিন্তন কৌশলে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশি-বিদেশি অপশক্তির মুখে বড় চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
নাসির বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ, দেশি-বিদেশি অপশক্তির চোখ রাঙানিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নির্বাচনে তার কৌশলগত অবস্থানে দেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক মানুষের অভাবিত বিজয় অর্জিত হয়েছে। এই বিজয়কে নানা ধরনের কূটকৌশলে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা চায়, সেই ৭১’র পরাজিত শক্তির কাছে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা নেই।
তিনি বলেন, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও দলীয় সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে, এই দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। এই দৃষ্টান্ত বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষের জন্য একটি শুভ বার্তা এবং শেখ হাসিনার চিন্তন কৌশলে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশি-বিদেশি অপশক্তির মুখে বড় চপেটাঘাত।
আ জ ম নাছির আরও বলেন, নির্বাচন বানচাল করার শত অপচেষ্টার মুখে এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য দলীয় প্রতীকের বাইরেও দলের মধ্যে যারা নির্বাচন করতে চান তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দল ও প্রার্থীর অনুকূলে ভোটাররা যাতে তাদের রায় প্রদান করতে পারেন সেজন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কারও পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর বাধ্যবাধকতা ছিল না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন পরাজিত প্রার্থীরা নানা ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য করে চলেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক পরাজিত প্রার্থীরাও আছেন। সবচেয়ে বড় কথা হল দলের মধ্যে কিছু সুযোগসন্ধানি ব্যক্তি থাকেই। দলের নিয়মিত কর্মকাণ্ডে তারা মাঠে না থাকলেও সুযোগ বুঝে ব্যক্তিক ফায়দা লুটার জন্য নানা ধরনের ছলচাতুরি করে থাকেন। এবারও কেউ কেউ তা করে চলেছেন। এখন নির্বাচন শেষ। নির্বাচনী মাঠে শেখ হাসিনার কৌশল ও অবস্থান বিজয়ী হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আসলাম হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।