চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: টানা ৬৬ দিন সরকারি ছুটির পর রোববার সব সরকারি-বেসরকারি অফিস খুললেও জমজমাট পরিবেশ এসেছে সোমবার। চট্টগ্রাম আদালত ভবন, সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি), আগ্রাবাদ সিজিও বিল্ডিং, বন্দর, কাস্টম, ওয়াসা, সিডিএ, সিটি করপোরেশনসহ সব অফিসে উপস্থিতি ছিল শতভাগ। ব্যাংকের সব শাখায় পুরোদমে কাজ চলেছে। গণপরিবহন আগের মতোই চলাচল শুরু করেছে। তবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বাকবিতণ্ডাও হয়েছে।
সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা দেখা গেলেও পুরোপুরি পালিত হয়নি বহু জায়গায়। অফিসসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে কাজ করেছেন। চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া এবং বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকায় নগর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। গণপরিবহনে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পড়ে যাত্রীদের উঠতে দেখা গেলেও অনেক চালক ও সহকারী এ নিয়ে ছিলেন উদাসীন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে সোমবার দুপুরে রোগীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও নমুনা সংগ্রহ না করায় ক্ষুব্ধ রোগীদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্মচারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নগরীর এছাক ব্রাদার্স লিমিটেড নামের আইসিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী মোহাম্মদ ইউনুস রোববার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ভর্তি হওয়ার মতো আইসিইউ বেড না পাওয়ায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপকও একইভাবে মারা যান চিকিৎসা না পেয়ে। সব মিলিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভও দেখা দিচ্ছে চিকিৎসা প্রার্থীদের মাঝে।