নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় চীনের আলীবাবা ফাউন্ডেশন এবং জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের দেওয়া ৫০টি ভেন্টিলেটরসহ ডিটেকশন কিট, থার্মোমিটার, মাস্ক, প্রটেকটিভ ক্লোদিং, ফেস শিল্ড, গ্লাভসের মতো সাড়ে ছয় লাখ জরুরি স্বাস্থ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেছে বিকাশ। উল্লেখ্য, চীনা জায়ান্ট আলীবাবা গ্রুপের অ্যাফিলিয়েট অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল দেশীয় প্রতিষ্ঠান বিকাশের মালিকানার অন্যতম অংশীদার।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের কাছে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর এসব জরুরি স্বাস্থ্যসামগ্রী হস্তান্তর করেন।
ক্রান্তিকালীন এই সময়ে এসব স্বাস্থ্যসামগ্রী জরুরি কাজে আসবে উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সর্টানাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)।
বিশেষ এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং করোনা প্রতিরোধী কার্যক্রমকে আরও কার্যকরী করতে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা-এর উদ্যোগে এবং বিকাশের ব্যবস্থাপনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
৫০টি ভেন্টিলেটরসহ এই তালিকায় রয়েছে ২০ হাজার কোভিড-১৯ ডিটেকশন কিট, ৬০ হাজার কেএন-৯৫ মাস্ক, ৩ লাখ ফেসমাস্ক, ২ লাখ ইন্সেপেকশন্স গ্লাভস, ১৫ হাজার ফেস শিল্ড, ১৫ হাজার প্রটেক্টিভ ক্লোদিং, ৮০টি থার্মোমিটার, ২০ হাজার নিউক্লিক অ্যাসিড আইসোলেশন এবং ২০ হাজার স্যাম্পল প্রিজারভেশন সল্যুসন্স।
দেশে কোভিড আক্রান্ত গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের চিকিৎসায় অতি জরুরি ভেন্টিলেটরের চাহিদার প্রেক্ষাপটে আলীবাবার দেওয়া এই ভেন্টিলেটরগুলো করোনা চিকিৎসা সেবাকে আরও ত্বরান্বিত এবং কার্যকরী করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, আমাদের কৌশলগত অংশীদার আলীবাবা গ্রুপের পক্ষ থেকে এই সামগ্রী বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে পৌঁছাতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে অংশগ্রহণই শুধু নয়, এদেশের মানুষের ভালো থাকাও নিয়েও জ্যাক মা এবং তার প্রতিষ্ঠান দুটি সচেতন। তাই জরুরি মুহূর্তে তারা এই সহায়তা পাঠিয়েছেন।