বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকা উত্তরের ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রয়াত সভাপতি রাকিব হোসেন হামজা এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানী বিটিসিএল জামে মসজিদে বাদ আছর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর গুলশান থানা ছাত্রলীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বনানী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ যুবলীগের সদস্য কাজী মিরাজুল ইসলাম ডলার, বনানী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শাহ আলমসহ স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। তারা রাকিব হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি করেন।
২০১৮ সালের ৭ই ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাসী খুনিদের চাপাতির কোপে নির্মমভাবে নিহত হয় রাকিব। তেজগাঁও কলেজ থেকে বিবিএ পাশ করে তিতুমীর কলেজের এমবিএ’র ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল। রাকিব পড়ালেখায় যেমন মেধাবী ছিল মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় ঝাপিয়ে পড়তো। রাকিব ছিল রাজনীতি সচেতন। মানুষের অধিকার সচেতন। বনানী থানাধীন ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিল। এ কারণেই মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের শত্রুতে পরিণত হয়।
২০১৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টা ১৫ মিনিটে বনানী থানাধীন কড়াইল আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে রাকিবকে হত্যা ও তার সাথে থাকা বন্ধু নুর ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে কড়াইলের মোশাররফ বাজার বস্তির শফিকুল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে বোচা সজীব, জসিম ও অজ্ঞাত সাত থেকে আটজন। যা পরবর্তীতে আহত নুর ইসলামের কাছ থেকে জানা যায়। ওই দিনই বনানী থানায় শফিকুল ইসলাম ওরফে সাজিব ওরফে বোঝা সজীব, জসিম ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।
নিহত রাকিব হোসেনের মা মাকসুদা হোসেন দৈনিক প্রত্যয়কে বলেন, ‘আমার সন্তান হারানোর চার বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু অদ্যবধি আমার সন্তান হত্যার বিচার পাইনি। খুনিদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়নি। শফিকুল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে বোচা সজীব জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমার সন্তান হত্যায় কারো কিছু হবে না বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে, উপহাস করছে।
একদিকে খুনিরা মুক্ত জীবন যাপন করছে, আমাদের পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, পুলিশ সকল খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি; অন্যদিকে তদন্ত ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা চলছে। এমতাবস্থায়, আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। এভাবে আর কতদিন খুনিরা মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াবে, দাপিয়ে বেড়াবে, সন্ত্রাস করবে? কতদিন আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে বিচারের? বিচারের বাণী কেন নিভৃতে কাঁদে? আমাদের সন্তানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। দাবি জানাচ্ছি দ্রুত তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে।’