নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চান্দাই সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আটকরা হলেন- চান্দাই গ্রামের মাহতাব সরকারের ছেলে ইয়াহিয়া (৪৫) ও আনসার আলী সরকারের ছেলে জুলফিকার আলী টিক্কা (৪৩)। তারা দুজনেই চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের সমর্থক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খেচুর ভাতিজা টিক্কা সরকার মাতাল অবস্থায় সরকারপাড়া মোড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী সমর্থিত রাজীব মোল্লার দোকানের সামনে গিয়ে হই চই ও গালমন্দ করছিল। এ সময় রাজীবসহ অন্যরা তাকে চলে যেতে বলেন।
এতে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে টিক্কা সরকার আহত হয়। এ খবর পেয়ে টিক্কার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্রসহ সেখানে গিয়ে দোকান মালিক রাজীব মোল্লা (৩০) ও তার বাবা জিল্লুর রহমান মোল্লা ওরফে জুলুকে (৫৫) এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের রক্ষা করতে গিয়ে একই গ্রামের উমেদ আলী (৪০), সাকান আলী (৩৫) ও মনিরুল ইসলাম (২৮) আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত জিল্লুর হোসেন ও রাজীবকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খেচু মারামারির ঘটনা স্বীকার করলেও তার ভাতিজার মদ খেয়ে মাতলামি করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস বলেন, সংঘর্ষের সময় টিক্কা মাতাল অবস্থায় ছিল বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।