আবহাওয়া: আরব সাগরে সৃষ্ট গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আরও শক্তি অর্জন করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে।
বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব সাগর থেকে ভারতের আরও কাছাকাছি পৌঁছেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বুধবার সকালের দিকে গোয়া থেকে প্রায় ৮৯০ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল এই ঝড়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ভারতীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পূর্ব মধ্য ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের ওপর অবস্থান করছিল। বর্তমানে এই ঝড়ের অবস্থান গোয়া থেকে প্রায় ৮৯০ কিলোমিটার দূরে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিকে এগিয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে কেরালা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সাধারণত জুনের শুরুতে ভারতে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও এবারে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তা পিছিয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশকারী বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেট ওয়েদারের মতে, ভারতে আগামী ৮ থেকে ৯ মের মধ্যে বর্ষা মৌসুম শুরু হতে পারে। এর ফলে দেশটিতে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরব সাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় পশ্চিমঘাটের বাইরে বর্ষা পৌঁছাতে দেরী হতে পারে। যে কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ গভীর ভূখণ্ডে বর্ষার অগ্রগতি বিঘ্নিত হতে পারে।
এর আগে, স্কাইমেট কেরালায় বর্ষা মৌসুম আগামী ৭ জুন থেকে শুরু হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে সেখানে বর্ষা শুরুতে তিন দিন কমবেশি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে আগামী ১০ জুনের মধ্যে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৫ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই সময় দমকা হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, আগামী ৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত কনকান-গোয়া-মহারাষ্ট্র উপকূলে সমুদ্রের অবস্থা প্রতিকূল থাকবে। দেশটির সরকারি এই সংস্থা জেলেদের আগামী কয়েকদিন আরব সাগরে না যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। এছাড়া যারা ইতোমধ্যে সমুদ্রে আছেন, তাদের উপকূলে ফিরতে বলেছে।
সূত্র: এনডিটিভি, জিও নিউজ।