বিনোদন প্রতিবেদক: ইংল্যান্ড,ইউরোপ তো আছেই ধারনা করা হচ্ছে পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে নিয়ে এত পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত গীতিআলেখ্য কেউ কোনদিন করার সাহস পর্যন্ত করেনি।
জানাগেল, হলে প্রচুর দর্শকদের উপস্থিতি ও প্রথম দৃশ্য থেকে শুরু করে শেষ অবধি দর্শকদের হাততালী ও সুক্ষ বিচার করে শিল্পীদের সাথে দেখা করে যে প্রশংসা তারা করেছেন তা প্রমান হয়ে গেছে কত বিচক্ষণতার সাথে কাজটি করা হয়েছে।প্রায় দুই ঘন্টার এ নাটকে ১৫ মিনিট বিরতি নিয়ে পুরো নাটকটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক নৃত্যশিল্পী মোহাম্মদ দ্বীপ কে তার অভিনয় প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি কেমন অভিনয় করেছি তার উওর দর্শকদের কাছ থেকে আমি পেয়েছি সাথে সাথে তবে আমার মনে হয় এখানে যে যার ভুমিকায় ছিলেন প্রত্যেকে তার অভিনয় পারদরশিতা দেখিয়েছেন।এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের মেধাবী পরিচালিকা শ্রদ্ধেয় পিয়া মায়েনিন এর সততা ও নিষ্ঠার কারনে। তিনি একাধারে আইনজীবি, মিউজিক এ প্রথম শ্রেনীতে উওীন, সদ্য নাটকের উপর অনেক কোর্স করা একজন সফল ব্যক্তিত্ব ।তবে তিনি শিল্পী নির্বাচন করেছেন অত্যন্ত মেধার পরিচয় দিয়ে।
যদি শুরু করি প্রথম দৃশ্য দিয়ে সেখানে একটি নৃত্য হয়েছিল লাইভ গানের সাথে যা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে নৃত্যটি পরিবেশন করেন লন্ডনের গুনী নৃত্যশিল্পী আমাদের সবার পছন্দের তবে আমার ছোট বোন সোনিয়া সুলতানা।যার সাথে গান করেছেন আরও একজন গুনি নজরুল সংগীত প্রেমী বিলেতের গানের মুরুব্বি শ্রদ্ধেয়া লুসি রহমান। তারপর ছোট নজরুল যার সাথে একটি যুদ্ধের লাইভ গানের সাথে আমি নৃত্য করেছি। ছোট নজরুল সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন তার গান ও অভিনয় দিয়ে। তারপর নজরুলের ভুমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন তিনি লাইভ গান করেছেন যা দর্শকদের ভীষনভাবে নাটকটি শেষ পর্যন্ত দেখার আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
নাটকটির মাঝভাগে একটি নজরুল সংগীতের মধ্য যে দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল তা ছিল অসাধারন । এখানে গান করেছিলেন লন্ডনের আরও একজন শুদ্ধ নজরুল সংগীত শিল্পী তিনি আমাদের সবার খুব শ্রদ্ধার বোন নাজমুন ত্বন্নী।তিনি ক্লাসিক্যাল,আধুনিক,লোকগীতি ও সিনেমার গানে এতই পারদরশী যা দর্শকদের মনিকোঠায় সহজে স্হান করে নিয়েছেন।এই নাটকের জন্য তিনি চমৎকার গান করেছেন যা উপস্থিত দর্শকদের মন্তব্য থেকে সহজেই বোঝা গিয়েছে।এ ছাড়া তিনি অভিনয় ও করেছেন বিশেষ চরিত্রে।
মোহাম্মদ দ্বীপ পন্চ কবির একজনের ভুমিকা করেছেন তা ছিল “অতুল প্রসাদ” তবে তিনি নজরুলের চাচা বজলে করিমের ভুমিকায় ও ছিলেন যা অনেক প্রশংসিত হয়েছেন।পুরো নাটকটি হয়েছে ইংরেজীতে। যদিও এখানে স্কটিশ, জন্মগত বাঙালী বৃটিশ, ইন্ডিয়ান আমেরিকান ও বৃটিশ বাঙালিদের সমন্বয়ে করা হয়েছিল।
এই নাটকটির সাফল্যর পেছনে প্রত্যকের সততা ও নিষ্ঠা কাজ করেছেন বলে আমি মনে করি।তবে লন্ডনের মেধাবী সব নৃত্যর , সংগীতের ও অভিনয় শিল্পীদের নেওয়া হয়েছিল বলেই ভালো একটি নাটক দর্শকদের আমরা উপহার দিতে পেরেছিলাম বলে আমার মনে হয়।নাটকটি মাত্র একবার হলে এরই মধ্যে লন্ডনের বাহিরে, ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকাতে করার জন্য অফার আশা শুরু হয়েছে। আমাদের। পরিচালিকা এখন ফ্রান্স আছেন তিনি আশার পর আমরা জানতে পারবো নাটকটি আবার কখন কোথায় হবে ।