করোনাভাইরাসের কারনে বর্তমানের পৃথিবী এক ভয়াবহ সমস্যার ভেতর দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীর অর্থনীতি স্থবির হয়ে আছে। অর্থনীতি একটা অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, এই খারাপ পরিস্থিতি সব সময় থাকবে না। অবস্থার একসময় অবশ্যই উন্নতি হবে ইনশা-আল্লাহ।
মার্কেটের পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হবে এবং সাথে সাথে নতুন কিছু পন্য মার্কেটে এসে যাবে, যাদের চাহিদা বেড়ে যাবে। সাথে সাথে কিছু পন্যের চাহিদা আর আগের মত থাকবে না।
আজকে এই পোস্টে আমরা ৫ টি পন্য নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, যেগুলির চাহিদা করোনা-পরবর্তী সময়ে অনেক বেড়ে যাবে। যারা নতুন উদ্যোক্তা, বিচক্ষন ব্যবসায়ী, তাদের কাজ হচ্ছে সঠিকভাবে এই পরিবর্তনকে অনুধাবন করে কাজ করতে থাকা।
১. মেডিকেল প্রডাক্ট আইটেম– এই ধরনের পন্যের চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। কারন একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারব। মাস্ক হতে শুরু করে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় মেডিকেল আইটেমের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। শুধু ভাইরাসের জন্য না, মানুষ ধুলাবালি থেকে বাঁচতে, স্বাস্থ্যকর ভাবে চলার জন্য এই পন্য গুলি কিনবে। এই ধরনের প্রডাক্টগুলির চাহিদা সব সময়-ই থাকবে।
২. ফুড বা খাদ্য– পৃথিবীতে পরাশক্তি বলতে তাদেরকে বুঝাত যে, কার কাছে কত অস্ত্র আছে, কার কত ক্ষমতা আছে। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে এখন পৃথিবীর মানুষের ভেতর খাদ্য মজুদ করে রাখার একটা প্রবনতা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে ড্রাই ফুডের ব্যাপক চাহিদা থাকবে।
৩. ইকমার্স ব্যবসা–
করোনা-পরবর্তী সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা অনেক বেড়ে যাবে। মানুষ অনলাইনে কিছু কিনতে ব্যাপকভাবে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। চীনে লকডাউন উঠিয়ে নেবার পড়েও দেখা গেছে যে, সেখানে অনলাইনে অর্ডার এর পরিমান ৩০% বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও ইকমার্স দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে যাবে। পৃথিবীর বড় বড় মার্কেট গবেষকরা আশা করছেন যে, অনলাইন ই-কমারস অনেক ভালোভাবে প্রসার লাভ করবে।
৪. পেস্ট কন্ট্রোল– করোনার পড়ে এই সেক্টর এর চাহিদা কেবল বাড়তেই থাকবে। অনেকেই প্রফেশনালভাবে বাসা-অফিস ক্লিনিং বা ডিসইনফেক্ট বা জীবাণুনাশক করার কাজ শুরু করেছেন। মানুষ এখন চাইবে নিজেকে জীবাণুমুক্ত রাখতে। কাজেই এই ধরনের সার্ভিস তারা লুফে নিবে।
কেউ চাবেন তার বাড়িটা পরিস্কার করাতে, কেউ চাবেন তার অফিস যাতে জীবাণুমুক্ত থাকে। কাজেই এটার চাহিদা কেবল বেড়েই যাবে। আপনার এখনই সময় এই সুযোগ কাজে লাগানো। কারন ক্লিনিং সার্ভিস প্রভাইডারদের অনেক চাহিদা বাড়বে।
৫. লোকাল ট্যুরিজম– যদিও করোনার কারনে ট্র্যাভেল ও ট্যুরিজম সেক্টর প্রায় লোকসানেই ছিল এই ৫ মাস, কিন্তু পৃথিবীর বড় বড় অর্থনীতি
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, আগামি শীতেই এই সেক্টরে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কারন ততদিনে করোনা হয়ত পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে। মানুষ এত দিন একটা জায়গায় আবদ্ধ ছিল। এখন তাদের কোথাও ঘুরে আসার প্রবনতা বাড়বে।