ওয়েব ডেস্ক: সবার নির্বাচন করার অধিকার থাকলেও বিএনপির বিষয়ে কোনো ছাড় নেই বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের বাংলাদেশে নির্বাচন করার অধিকার নেই। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই বিশ্বাস করে না তাদের কি দরকার নির্বাচন করা। তারা পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচন করুক। বিএনপির মতো দেশবিরোধী সংগঠনকে আমরা এদেশে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানে বিতাড়িত করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী জাহিদ আহসান রাসেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এসব কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।
বিএনপির নির্বাচনে না আসার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুটি কারণ- প্রথমত তাদের নিজস্ব দুর্বলতা। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব। নেতৃত্ব কে দেবে? দ্বিতীয়ত; তারা ভোটে যেতে সাহস পায় না। কারণ তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। এ কারণে তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আগ্রহ নেই। এদেশের জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা তা ভালোই বুঝতে পারছে। গণমানুষের সম্পদ, গণপরিবহন পুড়িয়ে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহার প্রসঙ্গে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, এটি অত্যন্ত বাস্তবমুখী পরিপক্ব ইশতেহার। এখানে কোনো ভাঁওতাবাজির স্থান নেই। এক কথা বললাম, কিন্তু করতে পারলাম না শুধু জনগণকে ঠুনকো আশা দিলাম এ রকম ইশতেহার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেননি। ইশতেহারে যা ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিই আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব। গতবারের মতো ইশতেহারের প্রতিটি আশ্বাস আওয়ামী লীগ সরকার এবারও পূরণ করবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের দরকার অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। কোনো বিশেষ দল নির্বাচনে এলো বা না এলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আপনাদেরই নির্ধারণ করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কি কি করতে পারি।
সবারই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। আমরা কাউকে বাধা দেবো না। আপনাদের সহনশীল হতে হবে এবং সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে অন্যের ভোট দেওয়ার পরিবেশ রক্ষা করা। বিশৃঙ্খলা এবং হট্টগোল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়।