নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় ১০ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। নোট-গাইড নিষিদ্ধ রেখে সন্ধ্যার পর কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে। শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হবে। এই খসড়ায় নতুন করে তেমন কিছু যোগ করা হয়নি। আইনে থাকার প্রয়োজন নেই এমন দুটি বিষয় খসড়া থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড। আইনে ড্রেস কোডের উল্লেখ থাকবে না। তবে নীতিমালা বা পরিপত্রে ড্রেস কোড নির্ধারণ করা হবে পরে। এদিকে খসড়ায় কৌশলগতভাবে কোচিং সেন্টার থাকলেও নোট-গাইড বই থাকবে না বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ধারায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ভাষাগত বিষয় ও সামান্য ভুলত্রুটি সংশোধন করে খসড়াটি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোচিং সেন্টার পরিচালনা সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, সন্ধ্যার পর কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ গণ্য হবে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালীন সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ দিনে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে না। তা করা হলে ওই কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল হবে। কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না। খসড়ায় বলা হয়েছে, আইনে ড্রেস কোডের উল্লেখ থাকবে না। তবে নীতিমালা বা পরিপত্রে ড্রেস কোড নির্ধারণ করা হবে পরে।
১৩ ফেব্রুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এর চার মাস পর শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয় রোববার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বৈঠকে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনসহ যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত করে মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে।