জবি প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার সরকার টারীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীর বাসায় অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছ। হামলায় শিক্ষার্থীসহ পরিবারের তিনজন সদস্য গুরুতর আহত হয়।
গত ১৪ জুলাই আদিতমারি উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের সরকার টারির নিজ বাসায় এ হামলা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জবির রসায়ন বিভাগের ১১ ব্যাচের মোঃ গোলাম মোস্তফা।
জানা যায়, গোলাম মোস্তফার চাচা মোঃ আব্দুল কাদেরের সাথে আফজালের দুই সপ্তাহ ধরে জমির বিরোধ চলছিল এবং প্রায় এই নিয়ে ঝামেলা ও ঝগড়া চলছিল। এক পর্যায়ে তাদের সমঝোতা করতে বলেন ঝামেলা না করে। এজন্য তাদের ঝগড়া করতে বাধা দিতেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গোলাম মোস্তফা’র বাসায় সন্ত্রাসী ও দূর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় অংশগ্রহণ করেন প্রতিবেশি আফজাল, লিটন, মন্টু এবং মন্টুর শালক মাইদুল ইসলাম সহ ২০/২২ জন। এ হামলায় মারাত্মক ভাবে জখম হন জবি শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা, পিতা মোঃ নুরু জামাল সরকার ও বড় ভাই মোঃ মেনাজুল ইসলাম মিস্টার। এসময় গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাদের লালমনিরহাট সদর হাসপালালে ভর্তি করা হয় এবং তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা করলেও আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম অস্বিকার করেন। উভয় পক্ষ মীমাংসা করতে চান এবং মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা জমি বিরোধ সমঝোতা করতে বলেছিলাম। কিন্তা তারা বিরোধ না মিটিয়ে আফজালের লোকজন সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। আদিতমারী থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম বলেন, থানায় অভিযোগ পত্র দিছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তারা আলোচনা করে উভয় পক্ষ মিমাংসা করতে চেয়েছে। তারা চাইলে মামলাও করতে পারে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষটি সম্পর্কে আমি জানিনা। আমি আদিতমারী থানার ওসিকে ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছি বিষয়টি দেখার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীর বাসায় হামলার বিষয়টি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় থাকে, আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা বলবো।