বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:হামলা চালিয়ে বিজেপির মিছিল আটকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফলে এদিন রীতিমতো তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল হামলা চালানোর পরও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে গিয়েছে। পুলিশ রাজ্যে দলদাসে পরিণত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে জগদ্দলের মেঘনা জুটমিলের মোড় থেকে ভাটপাড়া মোড় পর্যন্ত শনিবার মিছিল করার কর্মসূচি ছিল বিজেপির। তাই জগদ্দলের মেঘনা জুটমিলের মোড়ে জমায়েত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা। মিছিলে নেতৃত্ব দিতে হাজির ছিলেন দলের সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি কর্মীদের মেঘনা জুটমিলের মোড়ে যেতে বাধা দেয় তৃণমূল। বিজেপি নেতা ও কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে তারা। নোয়াপাড়ার বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং, তাঁর ছেলে আদিত্য সিং আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। শ্যামনগরের বিজেপি নেতা অরুণ ব্রক্ষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, তখনই তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে। এমনকী, তারা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে তারা।
যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, মিছিল করার নামে রাস্তায় রীতিমতো গুণ্ডামি করেছে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। এমনকী, কিছু বিজেপি নেতাও ওই গোলমালে ইন্ধন জুগিয়েছেন। ফলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় মানুষ বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের গুণ্ডামিতে বাধা দেন। ব্যারাকপুরের তৃণমূল পর্যবেক্ষক সুবোধ অধিকারী জানিয়েছেন, বহিরাগতদের নিয়ে এসে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এলাকায় হামলা চালাচ্ছেন। কোথাও কোথাও আবার বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা নিজেদের মধ্যেও মারামারি করছে। আর দোষ দিচ্ছে তৃণমূলের ওপর। উল্লেখ্য, এদিনের গোলমালে গুরুতর আহত হয়েছে এক কিশোর।