প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ ৬ মাসের বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের আঘাতে জর্জরিত মানুষের আয় কমছে লাগাতার। এমনিতেই দুর্দিনে আটকে আছেন মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। এর মধ্যে মাঝে মাঝে সবজির বাজার কিছুটা স্বস্তি দিলেও সেখানেও দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হচ্ছে তাদের। এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যা সাথে আসন্ন ঈদ। বাজারে পণ্যের দাম যেন আকাশচুম্বী।
এরমাঝেই ঈদকে সামনে রেখেই বেড়েছে ১০ পন্যের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম চলতি সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে। তবে ফার্মের ডিমের দাম হালিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন কিনলে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা শুকনা মরিচ, হলুদ, দারচিনি, লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা ও আদার বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ, মরিচ, ছোলা ও মসলাজাতীয় কয়েকটি পণ্যসহ মোট ১৮টি পণ্যের দামে পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টির দামই বেড়েছে। কমেছে সয়াবিন তেল, জিরা, এলাচসহ পাঁচটি পণ্যের দাম।
শুকনা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় এবং আমদানি করা মরিচ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়। হলুদেও বেড়েছে ২০ টাকা। দেশি হলুদের কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ এবং আমদানি করা হলুদের কেজি ১৫০ থেকে ২২০ টাকা। সব ধরনের আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দারচিনি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, লবঙ্গ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৮০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। তেজপাতা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে ছোলা কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন