মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ১৬টি ফেরি থাকলেও ঈদযাত্রায় পাওয়া যাবে মাত্র সাত থেকে আটটি ফেরি। ফেরি সঙ্কটে যাত্রী ভোগান্তি চরম আকার ধরন করার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে সুসংবাদ নেই ঈদ পর্যন্ত।
শনিবার (২৫ জুলাই) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা সভাকক্ষে ঈদ উপলক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে অনেকটা হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে সভায়। তবে আরও দু-তিনটি ফেরির জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে বাস, লঞ্চ, ফেরি ও সি-বোটে উঠতে দেয়া হবে না।
দুপুরে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তাদের বহরে ১৬টি বিভিন্ন ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রো রো, চারটি কে টাইপ ও দুটি মিডিয়াম ফেরি ঈদে চলাচল করতে পারবে। এগুলোর মধ্যে আবার একটি রো রো ফেরি ডকইয়ার্ডে। স্রোতের প্রতিকূলে ড্রাম্প ফেরিগুলো টিকতে না পারায় চলাচল করবে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যদি পানির তীব্রতা না কমে তবে এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বন্যার পানির কারণে গাড়ি পার্কিং নিয়েও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এতে ঘাটে সৃষ্টি হতে পারে যানজট। তারপরও সবকিছু সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সভায় বিশেষ আলোচনা হয়েছে। ঈদে পদ্মায় কোনো যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করতে দেয়া হবে না। স্রোতের কারণে ট্রলারডুবির ঝুঁকি রয়েছে। ঈদের আগের পাঁচদিন ও পরের তিনদিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে পশুবাহী ও পচনশীল দ্রব্য এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।
সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ, ফেরি ও সি-বোটে যাত্রী পারাপার করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে বাস, লঞ্চ, ফেরি ও সি-বোটে উঠতে দেয়া হবে না। অতিরিক্ত ভাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী উঠালে ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুস শোয়েব, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওসমান গণি তালুকদার, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম খান, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশফাকুন নাহার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর-সার্কেল) আসাদুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, বাস, ফেরি, সি-বোট ও লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা।