নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। সোমবার (২৭ জুলাই) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ চার জনের বিরুদ্ধে এনআরবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। বুধবার (২২ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন-পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দি ফারমারর্স ব্যাংক লিমিটেড) এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ), গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে এক কোটি টাকা (সুদাসলসহ ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এই সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। গত ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
হাসপাতালে অভিযানের পর থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে দুদকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন—মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।