প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনির্ধারিত ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ ২ মাস বাড়িয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
সোমবার এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনায় প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এমন কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৪ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা নানা ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। দীর্ঘ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় চলতি বছরের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অংশ থেকে এ সিলেবাস তৈরি করা হবে, গুরুত্ব কম হলে তা কমিয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। যদি এ সময়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয় তবে চলতি বছরের শিক্ষাবর্ষ ২ মাস বাড়িয়ে তা আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছি। এর মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখার মধ্যে ব্যস্ত থাকছে। রেডিও ক্লাসের জন্য রেকডিং কাজ শুরু করা হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীকে এর আওতায় আনতে দ্রুত রেডিও ক্লাস সম্প্রচার শুরু করা হবে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন