মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
শাহাদাৎ হোসেন মুন্না :করোনায় যখন সারা দেশ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সকল স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালতসহ প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলো। আস্তে আস্তে এক একটা এলাকা লক ডাউন ঘোষণা করা হলো। করোনার এই থাবায় পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় সকল পরিবহনের চাকা। অলস মনে দূর্বল শরীরে ঘরের কোনে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে পরিবহন শ্রমিকরা। কোনও কোনও শ্রমিকের চুলায় নিয়মিত আগুন জ্বলছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অনেকে লোক লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততেও পারেনা। পরিবহন না চলায় অনেকে যথারীতি কাজ না করতে পেরে অসুস্থও হয়ে পড়ছে।
এ যেন এক নির্মম প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে পরিবহন শ্রমিকদের ঘরে।যাদের দিয়ে দেশে আন্দোলন করিয়ে সব স্থবির করাসহ বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিবহন। যারা রাস্তায় বের হয়ে অনেকে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বিনিময়ে তারা অসুস্থ হয়ে ঘরের কোনেই পড়ছিলো। কিন্তু যারা ঘরের কোনে বসে এসব করিয়েছে তাদের কোন খোঁজ পর্যন্ত মেলেনি।
তাই পরিবহন নেতাদের কাছে আশা করবো, তাদের জীবন যাপন সহায়তায় দেশের এই ক্রান্তিকালে তারা এগিয়ে আসবে। তাদের পরিবারগুলোর খবর নিয়ে যেন সহায়তা দেয়।

লেখক: শাহাদাৎ হোসেন মুন্না
ভাইস চেয়ারম্যান,সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।